তালা ভাঙ্গার কিছুক্ষণ পরেই ফের আবাসিক হলগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে হল খোলাসহ কয়েক দফা দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। তবে ছেলেদের হলগুলোতে এখনও শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন। মেয়েদের হলগুলোতে একে একে তালা দিয়ে দিচ্ছেন প্রশাসন।
এ সময় দুটি দাবি মেনে নিলেও হল খোলার ব্যাপারে ‘রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা’ ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব না বলে শিক্ষার্থীদের জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান।
প্রক্টরের এই ঘোষণার পরেই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন। তবে শিক্ষার্থীরা যাওয়ার পরেই ফের হলগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ঘুরে ১৬টি হলের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ দেখা যায়। মেনে নেওয়া দাবি দুটি হলো— আহত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ফটক নির্মাণ করা।
বিশ্ববিদ্যালয় হল প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা হলের তালা ভেঙেছে। তবে আমরা জেনেছি তারা হলে অবস্থান করেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বৈঠক চলছে, এরপরেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আমরা পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে ওপর মহলে আলোচনা হচ্ছে। সরকার যখন সিদ্ধান্ত দেবে, তখন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। এখানে পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে সরকারের ওপরে। শিক্ষার্থীদের হল খোলার ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই।’
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুস সালাম মিঞা স্বাক্ষরিত সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মিছিল, জমায়েত, আবাসিক হলের তালা ভাঙা; সিন্ডিকেটে গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপন্থী। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সকলকে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন