দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাটবাজারে চাল ও তেলের মূল্য কোনভাবেই কমছে না। ক্রমাগত বাড়ছেই। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চাল কেজিতে ২/৩টাকা ও তেল লিটার প্রতি প্রায় ১০টাকা বেড়ে গেছে। মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাজার মনিটরিং করেও কোন ফল আসছে না।
যশোর, খুলনা, ঝিনাইদহ, কুস্টিয়া, মেহেরপুর, মাগুরা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি ছোট বড় হাটবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মোটা চাল ৩৮টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল, আমদানির পরও কমেনি বরং বেড়ে হয়েছে ৪৪টাকা। আমদানিকৃত স্বর্ণা চাল প্রতিকেজি ৪৪টাকা বিক্রি হচ্ছে। অথচ দেশি স্বর্ণা চাল ছিল আমদানির আগে ৪২টাকা। মিনিকেট ও বাসমতিসহ মোটা ও সরু চাল কেজি প্রতি গড়ে ৩/৪টাকা বেড়ে গেছে।
যশোরের কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের জেলা বাজার কর্মকর্তা মোঃ সুজাত হোসেন খান দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। আমদানিকারকদের কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের ২০১৮এর ১৭ ধারা মোতাবেক ক্রয়মূল্য, বিক্রয় মূল্য এবং মজুত সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠি বিলি করতে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক আমদানিকারকের ঠিকানা সঠিক পাওয়া যাচ্ছে না।
খুচরা চাল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামও বললেন, আমদানির পরও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না রচালের মূল্য। প্রায় প্রতিদিন এক আধ টাকা করে বাড়ছে। পাইকারি ব্যবসায়ী, মিলার ও আমদানিকারকদের থেকেই মূলত চালের মূল্য বাড়ানো হয়। আমরা খুচরা ব্যবসায়ি কেজিতে লাভ করি একেবারেই সামান্য।
বাজারে তেলের মূল্য বেড়েই চলেছে। একথা বাজার কর্মকর্তারা সবঈকার করেছেন। মসয়াবিন তেল লুজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০৪টাকা থেকে ১০৬টাকা। বোতলজাত তেল ১২৭টাকা থেকে ১৩০টাকা। এই তেলের মূল্য বৃদ্ধির আগে ছিল ৯০ থেকে ৯২টাকা খুচরা লুজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন