স্টাফ রিপোর্টার : নারীকে সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করা গেলে পরিবার সমাজ ও দেশে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব। আর তাদের এ সুযোগ নিশ্চিত করতে হলে প্রথাগত পারিবারিক ও সামাজিক বাধা দূর করা, সুশিক্ষা এবং কর্মসংস্থানে নজর দিতে হবে। গতকাল রাজধানীতে আয়োজিত ‘এচিভিং জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি থ্রু এম্পাওয়ারমেন্ট অব অল উইম্যান’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আশা ইউনিভার্সিটি এবং হাউজ অব ইয়থ ডায়ালগ যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। আশা ইউনিভার্সিটিরি ভিসি ড. ডালেম চন্দ্র বর্মণের সভাপত্তিত্বে সেমিনারে প্রধান অথিতি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পি বলেন, নির্যাতিত নারীর ৬৬ শতাংশই পরিবার থেকে নির্যাতিত হচ্ছেন। ফলে নারী ক্ষমতায়নে পরিবার ও সমাজে আগে পরিবর্তন আনতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা গেলে দেশ ও সমাজ উপকৃত হবে। বর্তমান সরকার নারীদের মূল ধারায় আনতে ও ক্ষমতায়নে জোর দেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে সংসদে ৭১ জন নারী সদস্য রয়েছে। নারী নীতি প্রণয়নসহ নানা মুখী উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
বক্তারা বলেন, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য, কারিগরী শিক্ষা, তথ্য, উপার্জনের সুযোগ, ঋণ প্রযুক্তি এবং বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অর্জিত সম্পদসহ ভূমির উপর অধিকার ইত্যাদির ক্ষেত্রে নারীর পূর্ণ ও সমান সুযোগ দিতে প্রয়োজনীয় নতুন আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, ঐতিহাসিকভাবেই নারীরা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন অর্জনে অবদান রেখে চলেছে। তাদেরকে সমান অধিকার নিশ্চিত করতে পুরুষকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। পাশাপাশি সরকার নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা বিধানে কাজ করে যাচ্ছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের রেল ভবনের দুয়ার সবসময়ই খোলা বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন