শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

প্রচলিত ধারার সিনেমা দিয়ে দর্শককে হলে টানা যাবে না-সোহেল রানা

বিনোদন রিপোর্ট : | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২১, ১২:০২ এএম

অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক সোহেল রানা তার ক্যারিয়ারে প্রায় তিনশ’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রযোজনা করেছেন ৩৫টি সিনেমা। পরিচালনা করেছেন পঞ্চাশটির মতো। দেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা ওরা ১১ জন-এর প্রযোজক তিনি। সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন চাষী নজরুল ইসলাম। ৪৫ বছর ধরে সিনেমার সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন। তবে সিনেমার বর্তমান শোচনীয় অবস্থা তাকে কষ্ট দেয়। আমাদের একসময়ের সমৃদ্ধ সিনেমা করুণ দশায় উপনীত হবে, তা নিয়ে ব্যথিত তিনি। তিনি বলেন, সিনেমাকে জাগিয়ে তুলতে হলে সময়ের সাথে তাল মিলাতে হবে। নতুন কিছু করতে হবে। দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী সিনেমা নির্মাণ করতে হবে। তিনি বলেন, এখন সিনেমার বিকল্প হিসেবে বিনোদনের অনেক মাধ্যম সৃষ্টি হয়েছে। ঘরে বসে ইউটিউবে মানুষ সিনেমা দেখছে। হলে গিয়ে সিনেমা দেখার হার কমে গেছে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এখন হলে গিয়ে সিনেমা দেখার মতো সিনেমা নির্মিত হচ্ছে না বলেই চলে। সারাবিশ্বেই ইউটিউবসহ অন্যান্য মাধ্যমে দর্শক সিনেমা দেখে। তবে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার আবেদন কমেনি। দর্শক যাতে হলে গিয়ে সিনেমা দেখে, সেভাবে সিনেমা নির্মিত হচ্ছে। এমন সিনেমা নির্মাণ করতে হবে, যাতে দর্শক হলে যেতে বাধ্য হয়। বড় পর্দার বিকল্প অন্য কিছু হতে পারে না। আমাদের চলচ্চিত্রে এমন সিনেমা এখন নির্মিত হচ্ছে না। সোহেল রানা বলেন, প্রচলিত ধারার সিনেমা দিয়ে দর্শককে আর হলে টানা যাবে না। নির্মাতাদের চিন্তাধারা বদলাতে হবে। সিনেমার গল্পে নতুন কিছু যোগ করতে হবে। গল্প আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। তা নাহলে, সিনেমা টিকিয়ে রাখা যাবে না। এজন্য প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ। চলচ্চিত্রের জায়গাটিকে সিনেমার গবেষণামূলক স্থানে পরিণত করতে হবে। নিজস্ব চিন্তাভাবনার সাথে বৈশ্বিক সিনেমার ধারা কি তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ভাল সিনেমা নির্মিত হলে দর্শক নিশ্চয়ই তা দেখবেন। এক্ষেত্রে সিনেমা হলের পরিবেশও গুরুত্বপূর্ণ। দর্শক সিনেমা হলে যায়, আনন্দ নিতে। একটি সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে সিনেমা দেখতে তারা আড়াই-তিন ঘন্টা কাটাতে চায়। এ পরিবেশ যদি না দেয়া যায়, তবে তারা অর্থ খরচ করে কেন যাবে? তাদের বিনোদিত হওয়ার এখন নানা মাধ্যম রয়েছে। তাদের হলমুখী করতে বিনোদনের সেরা মাধ্যম করতে সিনেমা হলের পরিবেশ উন্নত করতে হবে। আশার কথা, সরকার সিনেমা হল সংস্কারে অর্থ ঋণের ব্যবস্থা করেছে। এই অর্থ নিয়ে হল মালিকদের উচিৎ সিনেমা হলের পরিবেশ ঠিক করা। তবে ভাল গল্পের উন্নতমানের সিনেমা নির্মাণ সবার আগে প্রয়োজন। ভাল সিনেমা এবং সিনেমা হলের সুন্দর পরিবেশ-এই দুইয়ের সম্মিলন ঘটানো গেলে দর্শক অবশ্যই সিনেমা দেখবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন