কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বঙ্গবন্ধু পরিষদের ড. দুলাল-ড. জুলহাস অংশের কমিটি গঠনের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে আরেকাংশ। সোমবার (৮মার্চ) আরেকাংশের সভাপতি ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির হুসেইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিকে পাকাপোক্ত করতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত কমিটি থাকা সত্ত্বেও অবৈধভাবে আরেকটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু পরিষদ অবিলম্বে অবৈধভাবে ঘোষিত কমিটি বাতিলের প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, গত ৭ মার্চ একটি গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু পরিষদের নামে একটি অবৈধ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় যা বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠনতন্ত্রের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বঙ্গবন্ধু পরিষদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ ধরণের কোনো বৈধতা নেই। কেননা ইতিমধ্যে একাউন্টিং ও ইনফরমেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নাসির হুসেইনের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদের একটি কমিটি রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। কেননা, পরিষদ মনে করে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা বন্ধ করা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চর্চাকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে প্রশানেরও দায়দায়িত্ব রয়েছে।
তবে এসব বিষয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের ড.দুলাল-ড. জুলহাস অংশের সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী বলেন, ওনাদের এসব অভিযোগ আমলে নেওয়ার সুযোগ নেই। ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কমিটি গঠন হওয়ার পর দীর্ঘদিন কোন পরিষদ ছিলো না। কারণ কমিটির মেয়াদ ছিলো এক বছর, এরপর নতুন করে কমিটি গঠনের ব্যাপারে আমরা বেশ কয়েকবার বললেও ওনারা কোন আগ্রহ দেখায় নাই। এরপর ২০২১ এর শিক্ষক সমিতির নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আহ্বায়ক কমিটি গঠন করি। গঠনতন্ত্রের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেছে। তিনি আরো বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী করা আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে নীল দলের প্যানেল ঘোষণা করে আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়ে পূর্ণ প্যানেলে জয়ী হই। কোনটা বৈধ, কোনটা অবৈধ তা তো আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর কিছু নেই, নির্বাচনের ফলাফলই বুঝা যায় কারা বৈধ আর কারা অবৈধ।
উল্লেখ্য, গত রবিবার (৭মার্চ) বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. দুলাল চন্দ্র নন্দীকে সভাপতি এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন