আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য যশোর পৌরসভা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মেয়র মারুফুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বললেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ না থাকা এবং প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
সংবাদ সম্মেলনে মারুফুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। সেই কারণে ভোটে থাকা না-থাকা একই কথা। কেন্দ্রীয় ভাবে বিএনপি আসন্ন স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু যশোর পৌরসভা নির্বাচনের তফশিল যেহেতু আগেই হয়ে গেছে এবং বিএনপির প্রার্থী ঘোষনা করেছিলেন, সেই কারণে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত যশোর পৌরসভার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কি-না, তা নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছিল। এমন অবস্থায় জেলা বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অন্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা যশোর পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়া না-নেওয়া সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত স্থানীয়ভাবে নেওয়ার কথা বলেন। সেই প্রেক্ষিতে যশোর পৌরসভা নির্বাচন বর্জনের সিন্ধান্ত নিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের পুত্র অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, এখন সরকারের পতন, পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশনের বিদায়ের দাবিই মুখ্য। এই দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য বিএনপি আন্দোলন করছে। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেশে কোনো সুষ্ঠুুনির্বাচন সম্ভব নয়। যা দেশে চলমান পৌরসভা নির্বাচনের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে বিএনপি এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবেনা। ফলে যশোর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী রাখার কোনো যুক্তি নেই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহক, দেলোয়ার হোসেন খোকন, মিজানুর রহমান খান, গোলাম রেজা দুলু, আব্দুস সালাম আজাদ।
উল্লেখ্য, যশোর পৌরসভার সীমানা বৃদ্ধি ও সেসব এলাকার বাসিন্দাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করা নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিট দায়ের হয়। আর ওই রিটের প্রেক্ষিতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন আদালত। এরপর আদালতের নির্দেশে নির্বাচন স্থগিত করে ইলেকশন কমিশন। কিন্তু সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের চেম্বার আদালত নির্বাচন স্থগিতের ওই নির্দেশ স্থগিত করেন। পরে চলতি মার্চের ৩১ তারিখে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন