হেফাজতে ইসলামের ডাকে হরতালের প্রতিবাদে সিলেটে শোডাউন দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। যুবলীগ, ছাত্রলীগও নেমে পড়ে হরতাল বিরোধী অবস্থানে। তারপরও নজিরবিহীনভাবে হরতাল পালন হচ্ছে সিলেটে। কোনো ভাটা পড়েনি হরতালে বরং হরতাল আরো জোরদার হয়েছে বলে মনে করছেন হরতাল সমর্থনকারীরা। তারা মনে করছেন হরতাল বিরোধীদের যুদ্ধাংদেহী পরিবেশ-পরিস্থিতিতে হরতাললে তেজিভাব হচ্ছে।
দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শোডাউনে অংশ নেন। শোডাউন শেষে পথসভায় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরীর বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী গত ৫০ বছরেও এ দেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। তাই তারা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, তান্ডব চালাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে হরতালের ডাক দিয়েছে তারা। এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের অগ্রগতিকে বাঁধাগ্রস্থ করার জন্য শুরু হয়েছে নানা ষড়যন্ত্র। হরতালকে কেন্দ্র করে দেশে আবারও যাতে কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে থাকবে আওয়ামীলীগ। এদিকে, বেলা ১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করে মহানগর যুবলীগ।
মহানগর যুবলীগ সভাপতি আলম খান মুক্তির নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলও করছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। দুপুরে হরতাল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল শেষে চৌহাট্টা পয়েন্টে এক প্রতিবাদ সভায় মিলিক মহানগর যুবলীগের নেতাকর্মীরা। অপরদিকে, হরতাল বিরোধী অবস্থান নিয়ে রাস্তায় নামে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও। রোববার সকাল ১১টার দিকে চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙণে তাদের জড়ো হতে দেখা যায়। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর কামরান চত্বরে এসে ধ্ওায়া করে হেফাজতের কর্মী সমর্থকদের। পরে পাল্টা ধাওয়ার মুখে পড়ে তারা। এসময় আহত হয় ২ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ১২/১২টি ককটেল বিস্ফোণ ঘটিয়ে আতংক ছড়িয়ে দেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন