হঠাৎ করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামীকাল সোমবার থেকে সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। দেশব্যাপী নতুন লকডাউন কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও লকডাউনের নির্দেশনা পালনে পুলিশ আরও কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।শনিবার ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। অন্যদিকে লকডাউনকে পুঁজি করে কোনো অসাধু চক্র নিত্যপণ্যের দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ডমিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আলমঈন।
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, গত বছর কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই পুলিশ মাঠে থেকে কাজ করেছে। গতবারের অভিজ্ঞতা সঙ্গে নিয়ে এবার পুলিশ কাউকেই লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনে ছাড় দেবে না। গত বছর লকডাউন চলাকালে অনেকেই বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ঢাকা ছেড়েছিল। এবার তা হতে দেয়া হবেনা। কোভিড-১৯ এর নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ মাঠে থেকে কাজ করবে। গত বছরের লকডাউন পর্যালোচনা করে অভিজ্ঞতা বাস্তবায়নের বিষয়ে পরিকল্পনা করার জন্য রোববার পুলিশ এ বিষয়ে একটি সভা করবে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, করোনা বা লকডাউনের সুযোগ নিয়ে কোনো অসাধু চক্র যেন জিনিস পত্রের দাম বাড়াতে না পারে সেই লক্ষ্যে আমরা মাঠে থাকব। এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিতে এবারও মাঠে থাকব আমরা। কোনো অসাধু ব্যক্তি বা চক্র এ পরিস্থিতিকে পুঁজি করে যেন কোনো ধরনের অবৈধ কাজ করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে আমরা মাঠে থাকব। গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশে সাধারণ ছুটি ও এলাকা ভিত্তিক লকডাউন ছিল। সে সময় র্যাব মাঠ পর্যায়ে জনগণকে সচেতন করতে কাজ করেছে। এবারও একইভাবে কাজ করা হবে। করোনা ভাইরাসের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তুলতে আমরাইতো মধ্যে লিফলেট তৈরি করেছি। খুব দ্রুত এই লিফলেট বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, লকডাউনে সরকারের নির্দেশনা যেসব এলাকায় অমান্য করা হবে, সেসব জায়গায় আমরা জনসাধারণকে বিনয়ের সঙ্গে মেনে চলার জন্য অনুরোধ করব। এ ছাড়া মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আমরা জনগণকে সচেতন করে তুলতে কাজ করব। আমরা নিজেরাও কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করব।
উল্লেখ্য, শনিবার আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহ সারাদেশে লকডাউন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দ্রুতই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে। গত বছরের শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই জারি করা হয় লকডাউন। এতে থমকে যায় দেশ গুলোর অর্থনীতির চাকা। বাংলাদেশেও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে জেলাভিত্তিক চলাচল সীমিত করা হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকলে বিভিন্ন দেশ শর্তসাপেক্ষে লকডাউন তুলে নেয়। এরই মধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রতিষেধক টিকাও প্রয়োগ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন