চন্দ্রদ্বিপ ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের এক নারী ইউপি সদস্যকে থানায় আটকে রেখে হেনস্থার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই নারী ইউপি সদস্যর নাম নিলুফা বেগম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের এক গৃহবধূ (৫২) গণধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষিত ওই নারীকে চিকিৎসাসেবা ও আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য এগিয়ে যান ওই ইউনিয়নের ১,২ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য নিলুফা বেগম। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তিনি ধর্ষিতা নারীকে নিয়ে বাউফল থানায় যান।
থানার নারী ও শিশু নির্যাতন হেল্প ডেস্কে গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ ধর্ষিত ওই নারীকে হেফাজতে নেয়ার পর ইউপি সদস্য নিলুফা বেগমকে থানায় ওই দিন (শুক্রবার) সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত থানায় আটকে রাখা হয়। এসআই শেখ জাহিদ তাকে থানায় আটকে রাখার পর রাত ২টার দিকে তাকে ছেড়ে দেন। ওই সময় থানা থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি শহরে এক নিকট আত্মীয়ের বাসার গিয়ে আশ্রয় নেন।
ইউপি সদস্য নিলুফা বেগম অভিযোগ করেন, ‘পুলিশ আমাকে আটকে রখে নানান ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। আমি ভিকটিমের সাহায্যে এগিয়ে এসেছি। এটাই কি আমার অপরাধ ?
আমাকে জোড় করে মামলার ১ নম্বর সাক্ষী করা হয়েছে। আমি তো দেখিনি যে তাকে কে বা কারা ধর্ষণ করেছে? ধর্ষণের শিকার নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষা ও পুলিশের তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে আসলে কি হয়েছে? বিষয়টির সঙ্গে জড়িয়ে আমাকে কেন হেনস্থা করা হচ্ছে? এক দিন ও প্রায় এক রাত আমাকে থানায় আটকে রাখা হয়েছে, আমার সঙ্গে তুই তুমি সম্বোধন করা হয়েছে। শনিবার ভোরে আমি এলাকায় যাওয়ার পর আসামী পক্ষের লোকজন আমাকে দেখিয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়েছে। এভাবে হলে ভবিষ্যতে কোন ভিকটিমের সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসবে না।’
সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আল মামুন। তিনি বলেন,‘ ইউপি সদস্য নিলুফা বেগমকে আটকে রেখে হেনস্থা করা হয়নি।’
এদিকে গণধর্ষণের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যায় মামলার প্রধান আসামী কালামকে (২৫) গ্রেফতার করেছে। শনিবার (৩ এপ্রিল) ধর্ষণের শিকার ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন