শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

‘হেফাজতে ইসলাম জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট-এর চেয়ারম্যান আলহাজ মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, গত ২৩ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে জামায়াত শিবির এবং কওমী অংঙ্গনের কিছু উগ্রপন্থি তথাকথিত ওলামাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এক নজির বিহীন তান্ডবের মাধ্যমে থানা, প্রেস ক্লাব, ভূমি অফিস, ওস্তাদ আলাউদ্দিনের স্মৃতি ভাঙচুর, রেল ষ্টেশন, রেলের বগী, কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ী পুড়িয়েছে। নানা উস্কানি দিয়ে মানুষ হত্যা করিয়েছে। তাদের দাবি ভারতের নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর বাতিলে চেষ্টায় তারা এই নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছেন। হুমকি দিয়েছেন ভবিষ্যতে আরও তান্ডব চালাবেন। এসব উগ্রপন্থিদের দমাতে হবে।

তিনি বলেন, জামায়েতে ইসলামী তাদের ভ্রষ্টাচারিতার মাধ্যমে কওমি অংঙ্গনের বেশ কিছু আলেমকে বিপুল অংকের অর্থের বিনিময়ে তাদের ফ্যাস্টিষ্ট নীতি বাস্তবায়নের হাতিয়ারে পরিণত করেছে। বর্তমানে হেফাজতে ইসলামের নেতারা একে একে জামায়াতে ইসলামীর এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন। গ্রামে গ্রামে হিংসা বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিচ্ছে। মানুষ হত্যার উস্কানি দিচ্ছেন আর এ সবই ঘটাচ্ছেন মহান ইসলামের নাম ব্যবহার করে। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জামায়াত শিবির ও হেফাজতের সাম্প্রতিক তান্ডব ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক জোট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আলহাজ মিছবাহুর রহমান চৌধুরী এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব মাওলানা মনিরুজ্জামান রব্বানী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আবু হানিফ, মাওলানা আব্দুর রহিম হাজারী, মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আজিজী, মো. জামান উদ্দিন, মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকী, আসাদুজ্জামান খান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, হাটহাজারী, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হেফজেতর কর্মসূচী পালনকালীন হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে মানুষ হত্যার উস্কানিসহ মধ্যযোগীয় তান্ডব সৃষ্টিকারীর হুকুমদাতাদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। একজন বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি করে বি-বাড়িয়া ও হাটহাজারী হত্যাকান্ডের প্রকৃত ঘটনাসহ সার্বিক ঘটনাবলী তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত জনসম্মুখে প্রকৃত কাহিনী প্রকাশ করতে হবে।

গোটি কয়েক কয়েক উগ্রবাদীদের কারণে কওমি মাদরাসাগুলোর নিরীহ ছাত্র কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেই দিকে কঠোর নজর রাখতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন