করোনামহারীর সংক্রমণ রোধে আগামীকাল থেকে সারা দেশে আটদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে। এ অবস্থায় হাওরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বোরো ধান কাটার কৃষি শ্রমিক পরিবহনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন সমন্বয় করবে। গতকাল বিধিনিষেধ আরোপ করে জারি করা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে এই সময়ে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বোরো ধান কাটার জরুরি প্রয়োজনে কৃষি শ্রমিক পরিবহনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন সমন্বয় করবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ধান চাষ হয়েছে ১২ লাখ ১৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় এ বছর মোট আবাদ বেড়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর ও হাইব্রিডের আবাদ বেড়েছে প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে। এবার বোরোতে ২ কোটি ৫ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে দেশের কোন কোন এলাকায় আগাম জাতের বোরো কাটা শুরু হয়ে গেছে। সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, হাওরের বিস্তীর্ণ এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেশের সবচেয়ে বড় ফসল বোরোর ফলন ভাল হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে বোরো ধান কৃষক ঘরে তুলতে পারবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন।
তবে আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবে ইতোমধ্যে হাওরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। গত ৭ এপ্রিল নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় বয়ে যাওয়া আচমকা গরম বাতাসে কমপক্ষে ২০ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া জমির পরিমাণ আরো কয়েকগুণ হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন