রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় তিন শতাধিক ও গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া প্রান্তে দুই শতাধিক মোট প্রায় পাঁচ শতাধিক ট্রাক নদী পারের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ট্রাকচালক ও সহকারীরা।
অন্যদিকে করোনারোধে সরকারের নির্দেশিত সব নির্দেশনা এখানে উপেক্ষিত। কোনো ট্রাকচালকদের মধ্যে নেই জনসচেতনতার বালাই। তা ছাড়া লকডাউনের মধ্যে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকার পরও দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক চালক।
মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা পারের অপেক্ষায় দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড়ে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা থেকে কল্যাণপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় আটকে আছে।
যশোর থেকে ছেড়ে আসা ট্রাকচালক মজিদ মোল্লা জানান, সোমবার রাতে এখানে এসেছি। এখনও নদী পার হতে পারিনি। লকডাউনের মধ্যে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকার পরও কেন এত সময় আটকে থাকতে হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) ফিরোজ শেখ গণমাধ্যমকে বলেন, রাত থেকে ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ কিছুটা বেড়েছে। বর্তমান দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। খুব দ্রুতই নদী পার হতে পারবে এসব ট্রাক বলে জানান এই কর্মকর্তা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন