চট্টগ্রামে কড়া লকডাউনেও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে। সড়কে যানবাহনের সাথে বাড়ছে মানুষের উপস্থিতি। নানা অজুহাতে মানুষ রাস্তায় নেমে আসছে। পুলিশের চেকপোস্ট আর নজরদারীর মধ্যেও চলছে যানবাহন। হাটবাজার অলিগলি সর্বত্রই ভিড় জটলা। কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা। অথচ চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যু দুটোই বাড়ছে লাফিয়ে। গতকাল শনিবারও ৭ জনের মৃত্যু এবং নতুন করে ৩০২ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, লকডাউনে মানুষকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্য করতে তাদের চেষ্টার কমতি নেই। প্রতিদিনই নগরীতে চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। সেখানে জরিমানা করা হচ্ছে। তবে বাস্তবে পরিস্থিতির কোন উন্নতি নেই। কিছু মানুষের মধ্যে মাস্ক পরার প্রবণতা বাড়ছে। বেশিরভাগ মানুষ এ ব্যাপারে উদাসীন। বিশেষ করে গণপরিবহন এবং হাটবাজার ও পাড়া মহল্লায় ভিড় জটলায় স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না অনেকে। এতে লকডাউনের লক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার নগরীর প্রায় প্রতিটি সড়কে আগের দিনের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা ছিলো বেশি। রিকশা, অটোরিকশা, ব্যক্তিগত যানবাহনের পাশাপাশি গণপরিবহনও চলাচল করেছে। পরিবহন চালকরা বলছেন পেটের দায়ে তারা রাস্তায় নামছেন। লকডাউনে আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা রাস্তায় গাড়ি নামাতে বাধ্য হচ্ছেন। পুলিশের মামলার ভয় নিয়েও তারা গাড়ি চালিয়ে আয় রোজগারের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
রিকশা অটোরিকশা চালকেরাও জানালেন তাদের কষ্টের কথা। মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন বন্ধ। এরপর অনেকে রাস্তায় নেমেছেন। সকালে এবং অফিস ছুটির পর তারা ভাড়াও পাচ্ছেন। এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টম হাউস, ইপিজেডসহ কলকারখানা সচল রয়েছে। আমদানি-রফতানিমুখী পণ্য ও কন্টেইনার পরিবহন স্বাভাবিক আছে। কৃষিপণ্য ও ভোগ্যপণ্য পরিবহনও চলছে। রেল পথে পণ্য, কন্টেইনার ও জ্বালানি তেল পরিবহন বাড়ানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন