মাহে রমজানে বৈশাখেও টানা তাপদাহে অসহনীয় জীবনযাত্রা। কালবৈশাখী ঝড়, বজ্রবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি না হওয়ায় দীর্ঘ খরার দহন আর অনাবৃষ্টি পরিস্থিতি নাজুক। অবশ্য আবহাওয়া বিভাগের সুখবর, তাপপ্রবাহ ধীরে ধীরে কমতির দিকে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট সংস্থার আভাস, মে মাসের গোড়া থেকে জমবে মেঘ। ঝরবে বৃষ্টি।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, সিলেট, কুড়িগ্রামসহ কয়েক জায়গায় বিক্ষিপ্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে। দেশের অনেক জেলায় তাপমাত্রা আগের দু’চার দিনের চেয়ে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। আবার অনেক জেলায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৭.১ এবং সর্বনিম্ন ২৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনায় ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি। বেশিরভাগ জেলায় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির ঊর্ধ্বে।
দীর্ঘ সময়ের তীব্র খরা-অনাবৃষ্টি, তাপদাহের কারণে পানির অভাবে ফল-ফসল, ক্ষেত-খামারের উৎপাদনে সঙ্কটদশা বিরাজ করছে। মৌসুমী রোগব্যাধির প্রকোপে তৈরি হয়েছে জনস্বাস্থ্য সমস্যা। করোনা মহামারীকালে বৈরী আবহাওয়ায় বেড়ে গেছে মানুষের নানামুখী দুর্ভোগ। রোজাদার মুমিন মুসলমানরা রহমতের বৃষ্টির জন্য মসজিদে ও ঘরে ঘরে ফরিয়াদ করছেন আল্লাহর দরবারে।
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ জেলার দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি এবং এ সম্পর্কে পূর্বাভাসে জানা গেছে, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, সীতাকুন্ড, শ্রীমঙ্গল ও দিনাজপুর অঞ্চলসহ রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা পর বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন