ফরিদপুরের সালথায় তাÐবের ঘটনায় ফরিদপুর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে রিমান্ডে থাকাকালীন অবস্থায় এক আসামির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। গত শনিবার সকাল ৬টায় ডিবি পুলিশের একটি দল ওই আসামিকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ষোষণা করেন। মৃত ওই ব্যক্তির নাম আবুল হোসেন মোল্যা। তিনি সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের গোপালীয়া গ্রামের মৃত ইমানউদ্দিন মোল্যার ছেলে। আবুল হোসেন বিবাহিত এবং দুই ছেলে ও এক মেয়ের বাবা।
আবুল হোসেনকে গত ৫ এপ্রিল রাতে সালথায় সংঘটিত সহিংস ঘটনার জন্য গত ১৬ এপ্রিল গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ২৮ এপ্রিল পাঁচ দিনের রিমান্ডে তাকে জেলা পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়। ফরিদপুর ডিবি কার্যালয়ে এ রিমান্ড চলছিল। গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল কুমার কর্মকার বলেন, আবুল হোসেনের রিমান্ড চলছিল। সকালে তিনি সেহেরি করেছেন। গত শনিবার ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে তিনি বাথরুমে যান। পরে নিরাপত্তা রক্ষী দেখেন বমি করে মেঝেতে লুটিয়ে আছেন আবুল হোসেন। পরে তাকে দ্রæত ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই সময় জেনারেলর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছিলেন মো. তোফাজ্জেল হোসেন। তোফাজ্জেল হোসেন জানান, পুলিশ আবুল হোসেনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন।
আবুল হোসেনের মেয়ে তানিয়া আক্তার বলেন, আমার বাবা কোন অপরাধ করেনি। আমার বাবারে রিমান্ডে নিয়া মাইরা ফেলানো হইছে। আমার বাবা নিরীহ প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি কোন দল করতেন না। তিনি গরুর খামার নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন।
সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খায়রুজ্জামান বলেন, মৃত আবুল হোসেন একজন নিরীহ ও সৌখিন মানুষ ছিলেন। তিনি একটি গরুর খামার করেছেন, ওই খামার নিয়েই থাকেন। তিনি রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) জামাল পাশাকে আহŸায়ক করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, লকডাউনকে কেন্দ্র গুজব ছড়িয়ে গত ৫ এপ্রিল সালথা উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন সরকারি অফিসে তান্ডব চালায় উত্তেজিত জনতা। এসময় দুটি সরকারি গাড়িসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় তারা। এ ঘটনায় দুই যুবক নিহত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন