বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে আসা ১৪০ জন পাসপোর্ট যাত্রীকে সাতক্ষীরা শহরের চারটি আবাসিক হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় দেশে আসা এসব যাত্রীদের মধ্যে ৫০ জনের একটি দলকে আবাসিক হোটেল উত্তরা ও বাকীদের টাইগার প্লাস এবং হোটেল আল কাশেম এ রাখা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকেরই পাসপোর্ট সদর থানায় জমা রাখা হয়েছে। তাদের সবারই বাড়ি সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন স্থানে। তবে, অর্থের অভাবে না খেয়ে অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে জানিয়েছেন ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া এসব পাসপোর্ট যাত্রীরা।
এদিকে, ভারতে মহামারি করোনার ভেরিয়েন্ট সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সে দেশ থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা পাসপোর্ট যাত্রীদের সাতক্ষীরার শহরের বিভিন্ন হোটেলে রাখার খবরে আতংকিত হয়ে পড়েছেন জেলার সাধারণ মানুষ।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, ভারত থেকে বেনাপোল কাস্টমস অফিস দিয়ে দেশে ফেরা ১৪০ জন বাংলাদেশীকে সাতক্ষীরায় অবস্থান করছেন। শহরের তিনটি আবাসিক হোটেলে তারা রয়েছে। তারা সরকারের কাছ থেকে বিশেষ পাশ নিয়ে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশী হাইকমিশনে তারা বন্ড দিয়ে এসেছে তারা এখানে কিভাবে থাকবেন। প্রশাসন যেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করবেন সেখানেই তাদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে এবং তারা নিজ খরচে থাকবেন। তারা সেভাবেই সেখান থেকে বন্ড দিয়ে এসেছেন। তিনি আরো জানান, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে তাদেরকে বেনাপোল থেকে সাতক্ষীরায় আনা হয়েছে। বেনাপোল ও যশোরে প্রায় এক হাজারের মতো ভারত ফেরত বাংলাদেশীরা কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। বাকীদের সাতক্ষীরাসহ আশেপাশের জেলায় পাঠানো হচ্ছে। তবে, এখানে যারা রয়েছেনে তাদের সুব্যবস্থাপনার জন্য জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছেন।
এছাড়া অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সেখানে নিয়োগ করা হয়েছে। তারা যাতে বাইরে না আসতে পারে সেটি আমাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। তারা ভিতরে থাকলে তাদের যে খাদ্য খরচটা সেটাও তাদের নিজ খরচে বহন করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন