পুঠিয়া ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে পড়ে এলাকার কৃষকেরা। গত মঙ্গলবার ভোররাত থেকে শুরু হওয়া ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের কার্তিকপাড়া, বড়বাড়িয়া, পদপাড়া, কাশিয়াপুকুর, তেবাড়িয়া, পচামাড়িয়া, নান্দিপাড়া, মোল্লাপাড়া, শক্তিপাড়া, যশোপাড়া, কানমাড়িয়া, রাতোয়ালসহ ইউনিয়নটির পুরো এলাকা এবং ভালুকগাছি ইউনিয়নের ধোকড়াকুল এলাকার উপর দিয়ে এ ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টি বয়ে যায়। এতে উঠতি ফসলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উঠতি ফসলের ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে রয়েছে বোরো ধান, পাট, আম, লিচু ও বিভিন্ন ধরনের সবজি। এছাড়াও পানের বরজের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ো হাওয়ায় ও শিলাবৃষ্টিতে এলাকার আধাপাকা, কাঁচা ঘরবাড়ির টিনের চাল শিরাবৃষ্টিতে ঝাঁঝরা হয়েগেছে। অনেক যায়গায় ঘরবাড়ির টিনের চালা ও ছনের চাল উড়ে গিয়েছে। বর্তমানে অনেকেই ঘরের ছাদহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে রয়েছে। ভোররাতে বয়ে যাওয়া ঝোড়ো হওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ইউনিয়নের কার্তিপাড়া, বড়বাড়িয়া ও তার আশেপাশের এলাকায়। উপজেলা কৃষি অফিসার শামসুন নাহার ভুইয়া ভোরাতের ঝোড়ো হওয়া ও শিরাবৃষ্টিতে ফসলে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণেরা এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে কাজ করছে। তারা রিপোর্ট দিলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করা হবে। লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা : সকাল থেকেই ছিল মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টি। দুপুর হতেই অন্ধকার হয়ে আসে চারপাশ, যেন সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নেমে আসছে। এমনটাই মঙ্গলবার দুপুর ২.৩০ থেকে ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায় নাটোরের লালপুরের আকাশ । শুরু হয় ঝড় ও তুমুল বৃষ্টি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয় বজ্রবৃষ্টি ও ঝড়। কালো মেঘে ঢেকে থাকা আঁধার চিরে বিজলী চমকানোসহ চলতে থাকে বজ্রপাত। অন্ধকারে ঝড়ের মধ্য সড়কে একটি-দু’টি যানবাহন চলতে দেখা গেছে। এমন বৃষ্টিতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন উপজেলা বাসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন