গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় চুরি করে ধরা পরে অসুস্হতার ভান করে এম্বুলেন্সে করে পালিয়ে গেল চোর। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের চ্যপ্টারপাড় গ্রামে। এঘটনায় গতকাল রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগী বাবলু মধু বাদী হয়ে অরুন মধুকে আসামী করে ভাঙ্গারহাট নৌতদন্ত কেন্দ্রে একটি
অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আজ সোমবার অভিযোগের বাদী বাবলু মধু বলেন বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গলক্ষি বাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে তখন আমরা খবর পেয়ে মনের ভুলে ঘরের দরজা খোলা রেখে দ্রুত সেখানে ছুটে যাই এ সুযোগে অরুন মধু আমার ঘরে থাকা দের লক্ষ টাকা মুল্যের ৫০ কার্টুন ডার্বি সিগারেট চুরি করে নিয়ে যায় এসময় একই গ্রামের মিঠুন মধু ও রিংকু মধু দেখে ফেল্লে অরুন মধু তাদেরকে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বেতকাছিয়া গ্রামের সঞ্জীত রায়ের দোকান থেকে সিগারেট গুলো উদ্ধার করে এলাকাবাসী। এঘটনা এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে রাধাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অমৃত লাল হালদার চোর অরুন মধুকে হাজির করার দায়ীত্ব নিয়ে এলাকায় সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে কিন্তু কয়েকটি গ্রামের প্রায় এক হাজার লোক উপস্হিত হলে ও শেষ পর্যন্ত তারিখ দিয়ে চেয়ারম্যান উপস্হিত হননি বরং চোরকে অসুস্হতার ভান করে এম্বুলেন্সে করে পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করে ফলে সালিশ বৈঠক সফল করতে না পেরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তিনি আরো বলেন চেয়ারম্যান অমৃত লাল হালদার চোরের পক্ষ নিয়ে চোর অরুন মধুকে অসুস্হতার ভান করে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে। এ ঘটনার পর গতকাল রবিবার দুপুরে আমি বাদী হয়ে ভাঙ্গারহাট নৌতদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ করেছি। এব্যপারে চেয়ারম্যান অমৃত লাল হালদারের মোবাইলফোনে বার বার কল করলেও তিনি ফোনটি রিসিপ করেননি। ভাঙ্গারহাট নৌতদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সামিনুল হক বলেন চুরির অভিযোগ করা হয়নি তবে বাবলু মধু বাদী হয়ে অন্য একটি অভিযোগ করেছেন। অরুন মধু উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের চ্যাপ্টারপাড় গ্রামের সদানন্দ মধুর ছেলে। তার বিরুদ্ধে এলাকার হাসঁ মুরগী,গরু ছাগল,মেসিন,তেলসহ ৫০ টি চুরির অভিযোগ রয়েছে। এলকাবাসী জানায় অরুন মধু একজন পেশাদার চোর।সে চেয়ারম্যান অমৃত লাল হালদারের কাছের লোক হওয়ায় চুরি করে পার পেয়ে যাচ্ছে।আমরা এই চোরকে গ্রেফতার করে দৃস্টান্তমুলক সাস্তির ব্যবস্তা করে এলাকাবাসীকে চোর আতঙ্ক থেকে রক্ষার্থে পুলিশ প্রসাশনের দৃস্টি আকর্শন করছি। এর আগে চুরি যাওয়া সিগারেট গুলো বঙ্গলক্ষি বাজারের দোকানদার সিদ্দিক খন্দকার বাবলু মধুর ঘরে রেখেছিলেন বলে জানাযায়। কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন চুরির অভিযোগ করে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন