শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

শাশুড়ির নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যু

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

পিরোজপুরের নেছারাবাদে শাশুড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে বিষপানে অর্পিতা মজুমদার নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ভোর রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামী গা ঢাকা দিয়েছে। অর্পিতার স্বামী সবুজ রায় আতা বাজারের একজন এনজি ব্যবসায়ী। শাশুড়ি যমুনা রায় গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক শৈলেন্দ্রনাথ রায়ের স্ত্রী।

অর্পিতার বাবা লিটন মজুমদারের দাবি, শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে তার মেয়েকে বিষ খাইয়ে মেরেছে। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামী মিলে তার মেয়েকে খুব মারধর করত। তারপরও অর্পিতা নীরবে তাদের জ্বালা সহ্য করে যেত।

লিটন মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, তার বাড়ি ঝালকাঠি জেলার বেতলোজ গ্রামে। মেয়ের জামাই একজন এনজিও ব্যবসায়ী। এনজিওর কিস্তি আদায়ে সে প্রায়ই তাদের গ্রামে আসত।

সেই সূত্র ধরে তার মেয়ের সাথে একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে তারা বিয়ে করে। কিন্তু আমি একজন সামান্য দিনমজুর বিধায় জামাইয়ের মা-বাবা আমার মেয়েকে মেনে নিতে পারেনি। সবুজকে দূরে রেখে মেয়েকে একা ঘরে রাখত শাশুড়ি। কারণে অকারণে সর্বদা মারধর করত। চিরতরে সরিয়ে ফেলার জন্য শ্বশুর শাশুড়ি আমার মেয়েকে বিষ খাইয়ে মেরেছে। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেশি বিমা মিস্ত্রী জানান, ওই গৃহবধূর শাশুড়ি খুবই খারাপ প্রকৃতির। বউটি ঘরে আনার পর থেকে তাকে খুবই নির্যাতন করা হত। বিয়ের বয়স মাত্র তিন মাস। এখন পর্যন্ত ছেলের সাথে বউকে থাকতেও দেয়া হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মৃঞ্জয় হালদার জানান, ছেলের পিতা শৈলেন্দ্র ছেলে বউকে আলাদা করার ব্যাপারে পরামর্শের জন্য আমার কাছে এসেছিল। সে জানায় তার ছেলেকে ধরে বেধে মেয়ের বাবা বিয়ে দিয়েছে। এখন তুমি একটা সমাধান করে দাও। ছেলের বউ বিষ খেয়েছে; এখন সুস্থ আছে। তুমি সমাধান করে দাও।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন