ফতুল্লায় জোসনা নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফতুল্লা থানার ধর্মগঞ্জ চতলামাঠস্থ তার স্বামীর বাড়ি থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত জোসনার স্বামী ইলিয়াসকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। নিহত জোসনা ফতুল্লা মডেল থানার বক্তাবলীর মৃত হাবিবুর রহমান হাবিবের মেয়ে।
নিহতের স্বজনদের দাবি, পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে জোসনার স্বামী পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ঘরের ভেতরে ফেলে রেখেছিলো। গৃহবধূ জোসনার ভাই আব্দুল মতিন জানান, ২৪ থেকে ২৫ বছর পূর্বে পারিবারিক সম্মতিক্রমে ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠস্থ দর্জি বাড়ির তাইজুদ্দিন দর্জির পুত্র ইলিয়াস দর্জির সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে বন্যা ও হাফসা নামে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার বোনের বাসায় রানি নামের একটি মহিলা ভাড়া থাকতো। রানিও বিবাহিত ছিলো। স্বামীকে নিয়েই সেই বাসায় ভাড়ায় থাকতো।
সেই মহিলার সাথে তার বোন জামাই ইলিয়াস পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে রানিকে বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। রানি অন্যত্র ভাড়ায় চলে গেলেও তার বোন জামাই ইলিয়াসের সাথে পরকীয়ার সম্পর্কটা থেকেই যায়। এ নিয়ে প্রায় সময় তার বোনের সাথে ঝগড়া হতো স্বামী ইলিয়াসের।
এ নিয়ে পারিবারিক ও স্থানীয়ভাবে একাধিকবার শালিস বৈঠকও হয়েছিলো। কিন্তু তারপরেও পরকীয়া সম্পর্ক বজায় রেখেছিলো। প্রতিবাদ করলে তার বোনকে প্রতিনিয়ত মারধর করতো। আর তাই তাদের ধারণা পরিকল্পিতভাবে তার বোনকে হত্যা করেছে তার বোনের স্বামী ইলিয়াস।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শাহাদাত জানায় ,গৃহবধূ জোসনার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ইলিয়াসকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন