কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক গৃহবধূ ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। মৃত্যুর ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল দুপুরে দড়িকিশোরপুর কানীপাড়া গ্রামে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মর্গে প্রেরণ করেছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞসাবাদের জন্য নিহতের স্বামীসহ চারজনকে থানায় নেয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের দড়িকিশোরপুর কানীপাড়া গ্রামের জহুর উদ্দিনের ছেলে আবু সিদ্দিক ওরফে সিদ্দিক কসাইয়ের সাথে একই এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে হাওয়ানুর বেগমের প্রায় ১২ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। হাওয়ানুর বেগম সিদ্দিকের দ্বিতীয় স্ত্রী। তাদের ঘরে দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গতকাল দুপুরে হাওয়ানুর বেগম ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন। এসময় ওই ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। ঘটনার সময় স্বামী সিদ্দিক কসাই পার্শ্ববর্তী বাকরেরহাট বাজারে ব্যবসায়ীক কাজে অবস্থান করছিলেন। পরে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে খবর দেন। সিদ্দিকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হাওয়ানুর বেগমকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, ওই গৃহবধূকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করতে আসলে নিহতের স্বজনরা সটকে পড়েন। পুলিশ লাশ থানায় নিয়ে যায়। উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (তদন্ত) রুহুল আমীন বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করার সময় নিহতের স্বজনরা কেউ পাশে ছিল না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন