মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে নারীঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের রামানন্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৫টি টেটা (দেশীয় অস্ত্র) সহ দুই পক্ষের তিন জনকে আটক করেছে সিরাজদিখান থানা পুলিশ।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, গত রবিবার রাতে স্থানীয় একটি নারীঘটিত বিষয় নিয়ে রামানন্দ গ্রামের পিয়ার আলী মোল্লার পরিবারের লোকজনের সাথে একই গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিন ছেলে মুক্তার হোসেনের লোকজনের সাথে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি সমাধানের জন্য পরদিন সোমবার সকালে বিচার সালিশ ডাকেন। কিন্তু গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের ডাকা সালিশ না মেনে রামানন্দ গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিন এর ছেলে মুক্তার, নজরুল এর ছেলে জাহাঙ্গীর , শহর আলীর ছেলে আমির হোসেনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পিয়ার আলী মোল্লার বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে দুটি বসত ঘর ভাঙচুরসহ ঘরে থাকা নগদ দুই লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এসময় পিয়ার আলী মোল্লার লোকজন তাদের বাড়ী ঘর ভাঙচুরে বাধা দিতে গিয়ে চারজন আহত হয়েছে। স্থানীয় লোকজন হামলায় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন মুক্তার হোসেনদের অত্যাচারে এখন আমরা বিরক্ত। তাদের কারণে আনাদের গ্রামে মারামারি নতুন করে সৃষ্টি হচ্ছে।
ভুক্তভোগী পিয়ার আলী মোল্লা জানান, এর আগের দিন মেয়ে ঘটিত একটি বিষয় নিয়ে তাদের সাথে কথাকাটাকাটি ও মারামারি হয়। গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিচারের ভার নেয়। কিন্তু তারা বিচার না মেনে আমার বাড়ী ঘর ভাঙচুর করে। ঘরে থাকা নগদ দুই লাখ টাকা তারা নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আমরা লোকজন নিয়ে একাধিকবার থানায় অভিযোগ করার জন্য গেলে তারা অভিযোগ নেয়নি।
এদিকে প্রতিপক্ষের কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সিরাজদিখান থানার এস,আই নয়ন দুই পক্ষের তিনজনকে ৫টি টেটাসহ আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন