মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে বাড়ি হতে তুলে নিয়ে শিশু সমাপ্তি আক্তারের (১২) মাথা থেঁতলে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শনিবার দুপুরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে টঙ্গিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এর আগে একই প্রতিপক্ষ উপজেলার হাসাইল গ্রামের রাসেল মেলকার এর কোলের শিশু নাবিলকে (৭ মাস) মা বৃষ্টি আক্তার এর কোল হতে টান দিয়ে ফেলে দেয় প্রতিপক্ষের পপি আক্তার।
জানাগেছে, উপজেলার হাসাইল গ্রামের রাসেল মেলকার ও রাজন মেলকার একসাথে ডিস ব্যবসা করতো। পরে ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে তারা ব্যবসা ছেড়ে দেয় । এনিয়ে দু-জনের মধ্যে মন মালিন্য চলছিলো। পরে গত শুকবার বিকাল ৪টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজন মেলকার এর নেতৃত্বে আফজাল মেলকার ,রাকিব মেলকার, সুমন মেলকার, পপি আক্তার, কামরুল মানদে, দেলোয়ার মেলকারসহ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা চাপাতি, রামদা, কাঠের দাসা, হাতুড়ি নিয়ে রাসেল মেলকার এর শ্বশুর বাচ্চু গাজির বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। এ সময় রাসেল এর স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার, শ্যালিকা রোজা আক্তার, সমাপ্তি আক্তার, শাশুড়ি ইয়াসমিন বেগমকে মেরে আহত করে। এ সময় বৃষ্টির কোল হতে শিশু নাবিলকে টান দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় পপি আক্তার এবং বৃষ্টির গলা হতে একটি স্বর্ণের এ ঘটনায় রাসেল মেলকার বাদী হয়ে টঙ্গিবাড়ী থানায় শুক্রবার রাতে অভিযোগ দায়ের করলে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজন মেলকার এর নেতৃত্বে ফের বাচ্চু গাজির বাড়িতে ঢুকে রামদা, চাপাতি নিয়ে হামলা চালায় রাজনসহ ৮/১০ জন। এ সময় রাসেল মেলকার তার স্ত্রীর বৃষ্টির খালাতো ভাই সাব্বির , ফিরোজ গাজি, শ্যালিকা রোজা আক্তারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। এ সময় রাসেল মেলকার এর ছোট শ্যালিকা সমাপ্তিকে (১২) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দেয় রাজন মেলকার গংরা । পরে সমাপ্তিকে উদ্ধার করে প্রথমে টঙ্গিবাড়ী পরে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতাল নেওয়া হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ রাজন মেলকার, আফজাল মেলকার ও দেলোয়ার মেলকারকে আটক করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী থানা ওসি হারুন অর রশিদ জানান, এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আগামীকাল রবিবার মুন্সীগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন