বেনাপোল বন্দর দিয়ে আজ বুধবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। বুদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটির কারণে বন্ধ রয়েছে আমদানি রফতানি বাণিজ্য। দূতাবাস থেকে ছাড়পত্র নিয়ে আটকে পড়া পাসপোর্টযাত্রীরা নিজ নিজ দেশে ফিরতে পারবেন। আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে আছে। এসবের মধ্যে পচনশীল পণ্যসহ শতভাগ রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালও রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। এই বন্ধের মধ্যে বন্দরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকাল থেকে পুনরায় বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শশঙ্ক শেখর ভট্রাচার্য জানান, বুধবার উভয়দেশে সরকারি ছুটি থাকায় পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চলবে বলে তিনি জানান।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, এ পথে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও নিষেধাজ্ঞার আগে যারা আটকা পড়েছিল, তারা দূতাবাস থেকে ছাত্রপত্র নিয়ে যাওয়া-আসা করতে পারবেন। তাদের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে যারা ফেরত আসবে তাদের অবশ্যই ১৪ দিন নিজখরচে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৪০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করা হয়ে থাকে। ভারতে রফতানি হয় ১৫০ ট্রাক বিভিন্ন পণ্য। আমদানি বাণিজ্য থেকে প্রতিদিন সরকারের রাজস্ব আসে প্রায় ২০ থেকে ৪০ কোটি টাকা পর্যন্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন