শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

রাণীনগরে কলেজ শিক্ষার্থীকে অন্যায় ভাবে মারপিট করেছে এক প্রভাবশালী

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০২১, ৫:৪৫ পিএম

নওগাঁর রাণীনগরের খাজুরিয়াপাড়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ি থেকে বের করে এনে নীলিমা আক্তার (১৯) নামের এক কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে মারপিট করার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দেওয়ার ১সপ্তাহ পার হলেও দৃশ্যমান কোন ভূমিকা নেই পুলিশের। এতে করে চরম হতাশায় পড়েছে নীলিমার পরিবার।

অভিযোগকারী নীলিমা আক্তার খাজুরিয়াপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে। সে বর্তমানে রাণীনগর মহিলা অনার্স কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। নীলিমা বলেন তাদের বাড়িতে কোন পুরুষ লোক থাকে না। বাবা ঢাকায় চাকরী করেন আর ছোট চাচা বিদেশে থাকেন। এই সুযোগে পার্শ্ববর্তি মৃত-আব্দুল জলিলের ছেলে নান্নু দীর্ঘদিন যাবত আমাদের নানা ভাবে অত্যাচার করে আসছেন। গত মঙ্গলবার (১৮মে) নান্নু জোরপূর্বক আমাদের সীমানায় এসে তাদের বাড়ির বর্ধিত অংশ নির্মাণ করছেন। এছাড়াও তিনি আমাদের জায়গা জোবরদখল করে গাছ লাগানোসহ ফুলের বাগান করছেন। এমন কাজে বাধা দিলে নান্নু আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এর এক পর্যায়ে নান্নু ও পাশের বাড়ির বেলালের মেয়ে তমা আমাদের বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে আমাকে বাহিরে বের করে এনে বেদম ভাবে মারপিট করেন। শুধু তাই নান্নু বিভিন্ন সময় আমার মাকে কুপ্রস্তাব দিতেন। এই সব বিষয়ে গ্রামের মাতবরদের কাছে সমাধান চাইলে নান্নু প্রভাবশালী ও বেয়াদব হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ কোন বিচার করতে চান না। নান্নু আমাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত নানা ভাবে অত্যাচার করে আসছেন। আমরা এই সব বিষয়ে এর আগেও নান্নুর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ দিয়েছিলাম কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এই মারপিটের বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার (২০মে) আবার নতুন করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগ দেওয়ার পর শুধু একদিন পুলিশ এসেছিলো। এরপর পুলিশ প্রশাসনের আর কোন অগ্রগতি দেখছি না। এদিকে নান্নু প্রতিনিয়তই আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকী দিয়ে আসছেন। যার কারণে আমরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

অভিযুক্ত নান্নু মুঠোফোনে বলেন মারপিটের বিষয়টি সম্পন্ন মিথ্যে। কথাকাটি হয়েছে কিন্তু আমি তাদের কাউকে মারপিট করিনি। এছাড়াও আমার বিরুদ্ধে অন্যান্য বিষয়গুলো মিথ্যে ও ভিত্তিহীন।

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিন আকন্দ বলেন এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। দ্রæতই দুই পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন