ঘুর্ণিঝড় ইয়াসে পূর্ব সুন্দরবনের অবকাঠানোর ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া চারটি মৃত হরিণ পাওয়া গেছে লোকালয়ের নদ নদীতে। তাছাড়া বৃহস্পতিবার সকালে বন থেকে জোয়ারে ভেসে লোকালয়ে চলে আসা দুইটি জীবিত হরিণ উদ্ধার করে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, ঘুর্ণিঝড় ইয়াসে সুন্দরবনে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চারটি চিত্রল হরিণের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার দুপুরে দুবলা থেকে একটি, কচিখালী থেকে একটি, শরণখোলা উপজেলা সদরের বলেশ্বর নদীর রাজেস্বর এলাকা থেকে একটি ও বৃহস্পতিবার সকালে চাল রায়েন্দা এলাকা থেকে একটি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত হরিণগুলি সুন্দরবনে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া পানির ¯্রােতে ভেসে পাশ্ববর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোড় ও গোলবুনিয়ার লোকালয়ে চলে যাওয়া দুইটি জীবিত হরিণ উদ্ধার করে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে। তবে বনের মধ্যে আর কোন বণ্যপ্রানীর মৃত্যু হয়েছে কিনা তা খুজে দেখা হচ্ছে।
অপরদিকে ঝড়ে বন বিভাগের দুইটি রেস্ট হাউস, দুইটি অফিস, একটি ব্যরাক, একটি ফুট ট্রেইল, গোলঘর, ১০ টি জেটি, ১৫ টি রাস্তা, চারটি পুকুর, একটি জলযান ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
করমজল বণ্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও জোয়ারের পানির প্রভাবে ৫ থেকে ৬ ফুট পানির নিচে করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে তলীয়ে গেছে। এর প্রভাবে বনের অভ্যান্তরে লবন পানি প্রবেশ করছে। এছাড়া সকাল থেকে আমি বনের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। এর মধ্যে বনের বিভিন্ন উচু স্থানে আমি বণ্য শুকোর ও হরিণ আশ্রয় নিতে দেখেছি। এছাড়া প্রজনন কেন্দ্রে কুমিরের সেড গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুন্দরবনে এতো পানি আমি আগে কখনো দেখিনি। এমন অবস্থায় সুন্দরবনের বণ্য প্রাণী আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে প্রাথমিকভাবে ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তৈরী করা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সকল অফিসের আওতাধীন বনের গাছপালা ও বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের জন্য সকল বনরক্ষীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন