মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় অস্বাভাবিক জোয়ারে বেড়েছে ভাঙনের তীব্রতা

লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০২১, ৫:০৩ পিএম

লক্ষ্মীপুরে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ার উপকূলে আঁচড়ে পড়ে কমলনগর উপজেলার মতিরহাট, চরমার্টিন, নাসিরগঞ্জ, নবীগঞ্জ, কালকিনি ও রামগতির উপজেলার চরগাজী, চর আবদুল্লাহ এবং রায়পুর উপজেলার দক্ষিন চরবংশি, উত্তর চরবংশী, দক্ষিন চরআবাবিল ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামসহ মেঘনা তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। এসব এলাকার অন্তত ২০টি কাঁচা ও পাকা রাস্তা ভেঙে গেছে।

ঢেউয়ের আঘাতে কমলনগরের নাসিরগঞ্জ বাজার এলাকার প্রায় ৫০ মিটার বিলীন হয়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে গাছপালা। পাশ্ববর্তী একটি বেঁড়ি ভেঙে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মেঘনার এ তান্ডবে নদী তীরবর্তী অসহায় মানুষগুলোর হতাশার চাহনি শুধু মেঘনার দিকেই ছিলো। জোয়ারে প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান জানান, দুই-তিনটি বাঁধ ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এতে কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়। এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের দ্রুত বাঁধ সংস্কারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে পানিবন্দি দেড় শতাধিক পরিবারকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল মোমিন বলেন, মেঘনার জোয়ারে কিছু কাঁচা রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া তেমন বেশি প্রভাব রামগতিতে পড়েনি। প্রায় ৩০০ পরিবারকে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী বলেন, মেঘনা নদী সংলগ্ন গ্রামগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় পানি ঢুকে বসতঘরে উঠেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে-ক্ষতিগ্রস্থদের শুকনা খাবার দেয়া হয়েছে। আরো সহায়তা দেয়া হবে তাদের।

জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, দূর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে লক্ষ্মীপুরে সকল ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রচারণা চালানো হয়েছে নিরাপদ স্থানে সরে আসার জন্য। একই সঙ্গে মেঘনা তীরবর্তী বাসিন্দাদের জন্য দুর্যোগ মুহুর্তে ২৭৯ মেট্টিক টন চাল, নগদ ২৪ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ৯ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য ১৩ লাখ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে।
১০৯টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১০০ টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ৬৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন