কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে কোন প্রাণ হানির ঘটনা ঘটেনি। তবে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সহায় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কয়েক শত কোটি টাকা।
জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নিরূপিত তথ্য মতে কুতুবদিয়ায় ৮০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার নির্ধারিত ফরমে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ নিরূপণ করে এ তথ্য জেলা প্রশাসনে প্রেরণ করা হয়েছে।
কুতুবদিয়ার ইউএনও মোঃ নুরের জামান চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে লবণ, মাছ, কৃষিজ, ঘরবাড়ি, বেড়ীবাঁধ, বনজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সবকিছু আনা হয়েছে। গত ২৬ মে ও ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে এই ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়।
একিভাবে ওই সময়ে জলোচ্ছ্বাসে মহেশখালী উপজেলায় চিংড়িঘের, বসতবাড়ি, বেড়িবাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যার আনুমানিক ক্ষতি ১০ কোটি টাকা।
জানা গেছে, মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি, ধলঘাটা, কুতুবজোম ও পৌরসভায় ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে ১৫০ বাড়ি সম্পুর্ণ নষ্ট এবং সাড়ে ৪শ বাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
একইভাবে কক্সবাজার সদর উপজেলায় বেড়ীবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি ও লবণ মাঠ জোয়ার তলিয়ে গিয়ে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়া শুটঁকী পল্লী ও কুতুবদিয়া পাড়াসহ নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে ক্ষতি হয়েচ কমপক্ষ ২০ কোটি টাকার সহায় সম্পদ।
একইভাবে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে জোয়ারের তোড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে বেড়ীবাঁধ ও জেটি। এতে কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে নিরূপিত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন