মেয়ে চিকিৎসক হবে এ যেন অধোরা এক স্বপ্ন। দরিদ্র পিতার ঘরে জন্ম জান্নাতুম মৌমিতা মুন্নী পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে সামনে রেখে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকে। এসএসসি ও এইচএসসি’র গন্ডি পেরিয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নকে সামনে রেখে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়ে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পায়। কিন্তু মেডিক্যালে পড়াশোনার খরচ যোগানো পরের কথা ভর্তি করার সামর্থ না থাকায় স্বপ্ন যেন অধোরাই থেকে যাওয়ার উপক্রম হয়। স্থানীয় কিছু মানুষের উদ্যোগে ফেসবুকে মুন্নির সেই বুক ফাটা নিরব কান্নার কথা তুলে ধরা হয়।
ফেসবুকে তা এগিয়ে আসেন দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম। পাবনা জেলার দরিদ্র পিতা বাকী বিল্লাল-এর যোগাযোগ করেন তিনি। সংসদ থেকে প্রাপ্ত ভাতা থেকে মুন্নির মেডিক্যালে ভর্তি থেকে পড়ার খরচ বহন করার কথা জানান। তার দেয়া প্রতিশ্রæতি মোতাবেক গতকাল পিতা ও ভাইকে নিয়ে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে আসেন শিক্ষার্থী মুন্নী। এ সময় তার ও তার বাবার মুখের আনন্দ দেখে উপস্থিত ডাক্তারসহ অন্যান্যরা আবেগ আপ্লুত হয়ে উঠেন।
মুন্নীর চোখের পানি দেখে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ডা. নাদির হোসেন, বললেন কি হয়েছে মুন্নী, কাঁদছো কেন? উত্তরে জান্নাতুম মৌমিতা মুন্নী বললেন, এই চোখের পানি দুঃখের নয় আনন্দের। এসময় সে হুইপ ইকবালুর রহিম এর দীর্ঘায়ু কামনা করে বলে আমার পিতা মাতা যে স্বপ্ন পূরণ করতে পারতো না সেই স্বপ্ন পূরনের জন্য হুইপ যে দায়িত্ব নিয়ে আমাকে চিকিৎসক হওয়ার জন্য যে যাত্রা শুরু করলেন আল্লাহপাক যেন আমাকে সেই শক্তি, মেধা ও প্রজ্ঞা দান করেন।
এ ব্যাপারে হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত সংসদ সদস্য এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ আমার প্রয়াত বাবার নামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নামকরণ করেছেন। আমি সংসদের যে ভাতা পাই সেই অর্থ দিয়ে প্রতি বছরই মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্যে ব্যয় করে থাকি। বর্তমানে আমাদের এই মেডিক্যাল কলেজে ৫ জন শিক্ষার্থী বিনাখরচে পড়াশোনা করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন