শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

টাঙ্গাইলে চিকিৎসকের অবহেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর অভিযোগ

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০২১, ২:০০ পিএম

টাঙ্গাইলে চিকিৎসকের অবহেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বজনরা প্রতিবাদ করলে তাদের অবরুদ্ধ করে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (০১ জুন) রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।এদিকে হাসপাতালের ভিডিও ধারণ করতে গেলে ডিবিসি নিউজের ক্যামেরা ভাঙচুরের চেষ্টা চালায় জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শফিকুল ইসলাম সজিব। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।জানা গেছে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের কৃষ্ণ নগর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর ই খোদা মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে পরিবার তাকে জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তর করেন। পরিবার তাকে বীর মুক্তিযোদ্ধা বলে পরিচয় দিলেও সংরক্ষিত আসন ও মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।এ সময় রোগীর স্বজনদের কাছে দাবি করেন মুক্তিযোদ্ধা সনদ। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে সনদ জমা না দেওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার স্থান হয় হাসপাতালের মেঝেতে। ফলে চিকিৎসাসেবা না পেয়ে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। পরে পরিবার বিকেলে সনদ জমা দিলে মেঝে থেকে কার্ডিওলজি বিভাগের সিসিইউ ওয়ার্ডের ২২৫ নম্বর কক্ষে তাকে স্থানান্তর করা হয়।এদিকে বার বার চিকিৎসকের কাছে সুচিকিৎসার আকুতি জানালেও কেউ তাদের সহযোগিতা করেনি। দায়িত্বরত নার্সের কাছ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা দিয়ে কিনতে হয় ইনজেকশন ও স্যালাইন। সন্ধ্যায় ইনজেকশন পুশ করার পর সাড়ে ৭টার দিকে মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর খবরে উত্তেজিত স্বজনরা চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ করলে তাদের অবরুদ্ধ করে হামলা চালায় হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ। মরদেহ নিয়ে যেতেও বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন তারা।বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে ইমরান জানান, অবরুদ্ধ অবস্থায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে ঘটনা জানালে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।ডিবিসি নিউজের ক্যামেরা পারসন আশিকুর রহমান জানান, স্বজনদের অবরুদ্ধ করে মারধর করার ভিডিও ধারণ করতে গেলে হাসপাতালের আরএমওর নেতৃত্বে সেখানকার দায়িত্বরা আমার ক্যামেরা ভাঙচুরের চেষ্টা করে।

হুগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা জানান, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আমাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে ডিবিসি নিউজের ক্যামেরা ভাঙচুরের চেষ্টা চালায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসার অবহেলা, স্বজনদের মারপিট ও মরদেহ নিতে বাধা দেওয়ায় আবাসিক চিকিৎসকের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

রোগীর স্বজনদের মারপিট ও অবরুদ্ধ করার নেতৃত্ব দেওয়া টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম সজিব জানান, রোগীর স্বজনরা নার্সের ওপর হামলা ও হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন