মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম

আজান ও মসজিদের মাইক

উবায়দুর রহমান খান নদভী | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

জুনের ২ তারিখ দৈনিক ইনকিলাবের প্রথম পাতায় সউদি আরবের মসজিদগুলোতে মাইক ব্যবহারের নয়া নীতিমালা বিষয়ে সউদি সরকারের একটি ব্যাখ্যা প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে মুসলমানদের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ বলছেন এটা ইসলামবিদ্বেষীদের ভাবনার ছাপ। আজানের শব্দ অপছন্দকারী গোষ্ঠীর প্রভাব। এ মনোভাবটি আপন জায়গায় সম্পূর্ণ সঠিক তবে এখানে বিষয়টির বাস্তব কারণটিও দেখা চাই। ইতিবাচক চিন্তার সুযোগ থাকলে শুরুতেই মন্দ দিকটি সামনে আনার দরকার পড়ে না। যেমন আরেকদল মানুষ সউদি ধর্মমন্ত্রণালয় ও সিনিয়র শায়খ কমিটির ব্যাখ্যায় যৌক্তিকতা খুঁজছেন। তারা ইসলামী শরীয়তের ভারসাম্যপূর্ণ নীতির আলোকে এ নির্দেশনাটিকে দেখছেন এবং সউদি সরকারের ব্যাখ্যাটি অনুধাবন করছেন।

এখানে আমরা নির্মোহভাবে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে চাই। নীতিমালা ও নির্দেশনায় বলা হয়েছে, একটি মাইকের সর্বোচ্চ ভলিউমের তিনভাগের দুইভাগ বা এরচেয়ে কম আওয়াজে আজানের সময় মাইক ব্যবহার করা যাবে। মানে ফুল ভলিউমের ৬৬% ভলিউমে। এরচেয়ে বেলি ভলিউম স্বাস্থ্য, পরিবেশ, আজানের ভাবগাম্ভীর্য ও মাহাত্ম্যের জন্য ক্ষতিকর। এ বিষয়ে মসজিদে কোবার সম্মানিত ইমামের একটি টিভি সাক্ষাতকারে গোটা নির্দেশনাটির কারণ, যৌক্তিকতা ও মাসআলা উঠে এসেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ওয়াক্তিয়া নামাজে মসজিদের ভেতর, বারান্দা ও সাহান (অভ্যন্তরীণ চত্বর) ছাড়া গোটা মহল্লার মাইক চালু করা যাবে না। অর্থাৎ আজানের মাইকে নামাজের জামাত প্রচার করা যাবে না। মসজিদের মুসল্লিদের প্রয়োজন পরিমাণ ৩৩% মানে তিনভাগের একভাগ ভলিউমে নামাজ চলবে। কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে, ফজরের সময় দীর্ঘ কিরাত আজানের মাইকে প্রচার করলে শিশুরা ঘুমাতে পারে না। যাদের ওপর নামাজ ফরজ হয়নি।

এ বিষয়টি শরীয়তের ব্যবহারিক বিধান অনুযায়ী ঠিকই আছে। কারণ আজান ইসলামের প্রতীক। এটি যেমন নামাজের ঘোষণা তেমনি এর ধর্মীয় আধ্যাত্মিক গুরুত্ব সর্বোচ্চ। ইসলামের প্রথম যুগে মসজিদে নববীর আজান মদীনা নগরীকে কাভার করত। মুয়াজ্জিন নিজের কানে আঙ্গুল রেখে সামনে, ডানে, বামে মুখ ফিরিয়ে প্রতিটি বাড়িতে নামাজের এবং কল্যাণের আহবান পৌঁছে দিতেন। এ কাজটি মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার একটি জরুরি অনুসঙ্গ। তখন আজকের মসজিদে নববী এলাকাটিই ছিল পূর্ণাঙ্গ মদীনা নগরী। শরীয়তের চলমান বিধান হচ্ছে, একটি মসজিদের আওতায় যতগুলো বাড়িঘর বা জনবসতি রয়েছে এতটুকু জায়গার মানুষকে নামাজের জন্য আহ্বান করা।

এখানে নিজের মহল্লা পার হয়ে আরও বহু দূরে আজানের শব্দ পৌঁছানো, পার্শ্ববর্তী মসজিদগুলোর আজানের সাথে কাটাকাটি, একই সাথে একজন নামাজির ৬/৭টি আজান শোনা এবং একজন মানুষের উচ্চস্বরে আহ্বানের চেয়ে দশগুণ বেশি আওয়াজে একই সময়ে ৬/৭টি আওয়াজ শোনা কি শরীয়তের চাহিদার চেয়ে বেশি কিছু নয়? ইসলাম বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ি মুক্ত একটি মধ্য নীতির জীবনব্যবস্থা। শরীয়তের পরিভাষায় যাকে বলে, দীনুন ওয়াসাতিয়্যুন মু’তাদিলুন বাইনাল ইফরাতি ওয়াত তাফরীত।

আহ্বান হওয়া উচিত মসজিদের আওতাধীন নিকটবর্তী অঞ্চলের নামাজীদের জন্য এলার্ম। উদাস ও ব্যস্ত নাগরিকদের জন্য আল্লাহর বড়ত্ব, তাওহীদ, রিসালাত, নামাজ ও সামগ্রিক কল্যাণের প্রতি দাওয়াতের পাশাপাশি ঈমানী আহ্বান। তবে এটি কোনোক্রমেই উচ্চ শব্দ, অপরিকল্পিত শব্দ সংঘাত, আজানের মহান বার্তার ধ্বনি বিভ্রাট, এলোমেলো ও অসুন্দর শব্দজট সৃষ্টির প্রতিযোগিতা নয়। সহনীয়, সুশৃংখল, সুমধুর আজানের আওয়াজ নামাজিদের কানে পৌঁছে দেয়ার জন্য আজানকে বলা হয়েছে, আদ দাওয়াতু আত তাম্মাহ। আর পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ, তাকবীর, কিরাত, তাসবীহ, জিকির ও মুনাজাত তো মসজিদের ভেতরকার আমল। এসবই আজানের মাইকে উচ্চস্বরে জনপদে প্রচার করা ইসলামী বিধান, সুন্নত ও ঐতিহ্যের খেলাপ। মনের আবেগ, নির্বুদ্ধিতা, শরীয়তের সৌন্দর্য সম্পর্কে অজ্ঞতা, ধর্মের নামে অযোগ্য লোকেদের হঠকারিতা থেকে ইসলামের ভারসাম্যপূর্ণ বিধানকে রক্ষা করাই প্রকৃত আলেমদের কাজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (26)
Ujjal Hasan ৭ জুন, ২০২১, ১:৩৭ এএম says : 0
একজন মানুষের স্বাভাবিক সহনীয় মাত্রার শব্দের তীব্রতা হচ্ছে ২০ -৭৫ ডিসিবেল। শব্দের তীব্রতা ২০ ডিসিবেল এর নীচে হলে মানূষ তা শুনতে পায় না। ৭৫ ডিসিবেলের উপরে হলে বিরক্তির সৃষ্টি, কানের পর্দার ক্ষতি সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকির সৃষ্টি করে।‎সাধারন মাইকের শব্দের তীব্রতা নুন্যতম ১০০ ডিসিবেল। যা মানুষে কর্ন প্রদাহ, বিরক্তি, উচ্চ রক্তচাপ ও অনিদ্রা সহ বিভিম্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকির সৃষ্টি করে। উন্নত বিশ্বের দেশ সমুহে সভা সেমিনার ইত্যাদিতে এসব মাইক ব্যবহার নিষিদ্ধ।‎
Total Reply(0)
Htm Arif ৭ জুন, ২০২১, ১:৩৮ এএম says : 0
মানুষের সমস্যা না হওয়ার জন্য রাসূল সাঃ জোরে কোরআন পড়তেও নিষেধ করেছেন। এমনকি রাতে সালাতে উচ্চ আওয়াজে ক্বিরাত করতে নিষেধ করেছেন। মানুষ যেহেতু সমস্যার কথা শাসককে জানিয়েছে এবং যেহেতু এরকম ক্ষেত্রে উচ্চ স্বরে ক্বিরাত করা জরুরি নয় বা নিষেধ আছে, অবশ্যই মাইক অফ করাই ভালো। ইসলামকে নিজের বোধশক্তি দিয়ে জটিল করার মানে কি? ইসলামে যেটার সুযোগ আছে সেটাকে আবেগে জোর করে চাপিয়ে দেয়ার কোথায় পেয়েছেন? ধন্যবাদি ইনকিলাবকে বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য। আল্লাহ আমাদের সথ্য বুঝার তৌফিক দিন।
Total Reply(0)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ৭ জুন, ২০২১, ১:৩৮ এএম says : 0
শরিয়তে মুহাম্মদ(সাঃ)বিধান মতে ইবাদতের অনউপযোগি বস্তু কে ইবাদত শরিক করা যাবেনা। মাইক লাউন্ট স্বিকার যন্ত্র মোবাইল ইন্টারনেট টিভি যাবতীয় যান্ত্রিক ইবাদতের বিষয়ে পবিত্র কোরান সুন্নাহ মতে করা যাবে কিনা?আজান দিতে হয় মসজিদের বাহিরে ডান পাশে উচু জায়গাই দাঁড়িয়ে এটি সুন্নত। বতর্মানে এই সুন্নত কে ধ্বংস করে মসজিদের বিতরে আজান দিচ্ছেন। মুতাকাব্বির প্রথা ধ্বংস করে দিয়েছেন। এখন মুতাকাব্বিরের দায়িত্ব পালন কারি হচ্ছে যন্ত্র মাইক বা সাউন্ডবক্স। ইসলামের বিধান মতে মুতাকাব্বিরের গুনাবলি সে জানদার বালেক মুসলমান ফরহেজগার হতে হবে। যন্ত্রের মাঝে এর কোনটি নাই। কিভাবে মুসলমানদের ইবাদতের মত পবিত্র স্থানে যন্ত্র প্রবেশ করলো। প্রায় সাড়েতের শত বসর ইবাদতে যন্ত্র প্রবেশ ঘটেনি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ইবাদত কি ডিজিটাল পদ্ধতিতে করতে হবে? আধুনিক সভ‍্যতার দোহাই দিয়ে ইবাদতের পবিত্রতা নষ্ট করা হচ্ছে । ইবাদতের মাঝে শরিক করা যাবেনা। ফটো তুলা যাবেনা সকলস্তরের শ্রদ্ধেয় আলেমদের জানা আছে। অহরহ করে যাচ্ছেন কোনটি হারাম কোনটি হালাল বাচ বিচারের সময় এখন নেই। জীবিকার জন্যে।সমগ্র দুনিয়া এখন শয়তানের পরিকল্পনায় ইবাদতে যন্ত্রের মাঝে অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে জড়িত হয়ে গেছে। আমার লিখা প্রকাশ ও হবেনা। কঠিন সমালোচনা হবে। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেছেন বণি ইস্ররাইল ধর্মনিয়ে বাড়াবাড়ি করতে করতে ৭২ দলে বিবক্ত হয়েছিল। আমার উম্মতেরা ৭৩ দলে বিবক্ত হবে ত‍ৎমধ‍্যে একটি দল হকের মধ্যে থাকবে বাকী ৭২ দল হবে জাহান্নামী।। তখনই সাহেবায়ে কেরাম প্রশ্ন করেছিলেন ইয়া রাসুলআল্লাহ এই একটি হকের দল কোনটি বুঝবে কিভাবে তখনই নবী (সাঃ)বলেছিলেন পবিত্র কোরান নবী(সাঃ)সুন্নত কে পরিপূর্ণ ভাবে দরে রাখবেন তারাই আমার উম্মত। পৃথিবীর মালিক মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ মহাবিজ্ঞানী আল্লাহ প্রিয়নবী (সাঃ) মাধ্যমে পবিত্র কোরান সুন্নাহ মতে ইবাদতের পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছেন। সকলের দূইরাকাত নামাজে ঈমাম ক্বেরাত তেলোয়ার বড় করে পড়েন। জোহর ওয়াক্তে ঈমান ক্বেরাত বা তেলোয়াত মনে মনে পড়েন। আছর ওয়াক্তে একি পদ্ধতিতে আবার মাগরিব দুইরাকাত বড় করে আওয়াজ এক রাকাতে ঈমাম মনে মনে পড়েন। এশা দুইরাকাত বড়করে দুইরাকাত মনে মনে পড়েন। নামাজ গুলোর কিছু প্রকাশ‍্যে ঈমাম পবিত্র কোরানের সুরা তেলোয়াত করেন। কিছু মনে মনে পড়েন। ত‍ৎকালিন কাফের দের অত‍্যাচারের ভয়ে আল্লাহ এবং মহানবী(সাঃ) অনুসৃত সুন্নত পদ্ধতি নিয়মকানুন পরিবর্তন করার ইক্তেতিয়ার কোন মানুষের আছে???। ইবাদত কার জন্যে? ইবাদতের বৈশিষ্ট্য পবিত্রকোরান সুন্নাহের বাহিরে যাওয় কোন সুযোগ নেই। আল্লাহর ইবাদত নুর। নুরের ইবাদত পবিত্র। আল্লাহ্ আমাদের সবাই পকৃত ইবাদত করার তৌফিক দিন। আমিন।
Total Reply(0)
Masud Miah ৭ জুন, ২০২১, ১:৩৯ এএম says : 0
সৌদি আরবে সম্পুর্ণ কোরআন হাদিসের সংবিধানে চলে শব্দ কম ব্যাবহার করতে বলিয়াছে এতে দোষের কিছুই নেই বাচ্চা অসুস্থ রোগীর জন্য আর ইসলামে কোন জোরজবরদস্তি নেই মানুষকে কষ্ট দেয়া ইসলাম সমার্থন করেনা
Total Reply(0)
Ujjal Hasan ৭ জুন, ২০২১, ১:৪০ এএম says : 0
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ ও বিভিন্ন গবেষণার ভিত্তিতে উন্নত বিশ্বের দেশ সমুহে শব্দ দূষন আইন প্রচলিত আছে। প্রায় প্রতিটি দেশেই আবাসিক এলাকায় শব্দের তীব্রতা দিনে সর্বোচ্চ ৫৫ এবং রাতে সর্বোচ্চ ৪৫ ডিসিবেল নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ অনুমোদিত তীব্রতা শিল্প এলাকায় দিনের বেলা ৭৫ ডিসিবেল। অর্থাৎ কোন অবস্থায় ই ১০০ ডিসিবেল ক্ষমতা সম্পন্ন মাইক ব্যবহার করার সুযোগ নাই। আর ইসলামও এমনটাই সমর্থন করে।
Total Reply(0)
নীল অম্বর ৭ জুন, ২০২১, ১:৪০ এএম says : 0
এরাই ইসলাম বোঝে এবং মানে । স্যালুট সৌদি মন্ত্রীসহ যারা এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন । এখন আমার পাশের পাঁচটা মসজিদ থেকে আযানের শব্দ আসছে কিন্তু স্পষ্ট কিছু বুঝতে পারছিনা । এটা শব্দ দূষণ ছাড়া আর কিছু না । এর প্রতিকার হওয়া উচিত ।
Total Reply(0)
Himu Himalay ৭ জুন, ২০২১, ১:৪১ এএম says : 0
ইসলামের প্রাথমিক যুগে উচ্চস্বরে আজান দেয়া হতো, যাতে অনেক দূরের মানুষ আজান শুনে নামাজের সময় জেনে নামাজ আদায় করতে পারে। এখন প্রায় সব দেশেই প্রতি বর্গকিলোমিটারে এক বা একাধিক মসজিদ থাকে। তাছাড়া, সেই সময় আজান খালি মুখেই দেয়া হতো। আজানের শব্দ বাড়াতে চোঙ্গা জাতীয় কৃত্রিম বস্তুর ব্যবহার করা হতো না। তাই মসজিদে মাইক ব্যবহার করা যুক্তি যুক্ত হলেও, সেটা উচ্চ স্বরে বাজানো যুক্তি যুক্ত কিনা সেটা হাক্কানী আলেমরাই ভাল বলতে পাড়বেন। নাচ-গান, যাত্রা-পালা থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে উচ্চস্বরে মাইক ব্যবহার করে শব্দ দূষণ করা ঠিক নয়।
Total Reply(0)
Shohan Khondoker ৭ জুন, ২০২১, ১:৪২ এএম says : 0
বাংলাদেশেও সব ধরণের মাইকের শব্দ নিয়ন্ত্রণ করার সময় এসেছে। বিশেষ করে মসজিদের পাশে যাদের বাড়ি তাদের অবস্থা সবচেয়ে কষ্ট কর। ধর্মীয় বিষয় বলে কেউ কিছু বলতে চাই না
Total Reply(0)
M Islam Shawon ৭ জুন, ২০২১, ১:৪২ এএম says : 0
এ বিষয়ে নবী করিম (সা.) নির্দেষ আমরা মনে হয় ভুলে গেছি। আমরা শুধু আওয়াজ বাড়িয়েই চলেছি। মনে হয় যেন, শব্দ যত জোরে হবে সওয়াবও তত বেশী হবে!
Total Reply(0)
Md Aman ৭ জুন, ২০২১, ১:৪২ এএম says : 0
সঠিক সিদ্ধান্ত । নামাজের জন্য ডাকতে আজান দেওয়া হয়। কিন্তু একইসঙ্গে কাছাকাছি কয়েকটি মসজিদের আযান এর উচ্চ শব্দের কারনে আজান বুঝতে এবং আজানের উত্তর দিতে সমস্যা হয়। দয়া করে কেউ ভুল বুঝবেন না। মাইকের শব্দ সহনীয় হলে ভালো হয়।
Total Reply(0)
মুক্তিকামী জনতা ৭ জুন, ২০২১, ১:৪৩ এএম says : 0
সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হয়। এই সিদ্ধান্তটাও সেরকম ...... আবেগ দিয়ে নয়, বিবেক দিয়ে ইসলামের নিরীক্ষে চিন্তা করলে এটাই সকলের কাছে সঠিক মনে হবে।
Total Reply(0)
নোমান মাহমুদ ৭ জুন, ২০২১, ১:৪৩ এএম says : 0
দীর্ঘ সময় মসজিদের মাইক চললে মসজিদের পাশে যাদের বাড়ি ঘর থাকে তাদের বাচ্চাদের পড়াশুনার ব্যাপক ক্ষতি হয়, তাই এই বিষয়টি বিবেচনা করে আজান ছাড়া অন্য আলোচনাগুলো মসজিদের মাইকে না করাই ভালো।
Total Reply(0)
হাসান সোহাগ ৭ জুন, ২০২১, ১:৪৪ এএম says : 0
কাছাকাছি অনেকগুলো মসজিদের একসাথে মাইকে আলোচনা চলতে থাকলে কোনটাই ভালোভাবে বুঝা যায় না, এতে শব্দদুষণ ছাড়া আর কিছুই হয় না। তাই মসজিদের মাইকে শুধু আজান দিলেই সবচেয়ে ভালো হয়।
Total Reply(0)
Moshiur Rahman ৭ জুন, ২০২১, ১:৪৪ এএম says : 0
ঢাকাকে বলা হয় মসজিদের শহর। সেখানে যদি দীর্ঘক্ষণ মাইকে ওয়াজ করা হয় তাহলে ঢাকায় ব্যাপক শব্দদূষণ হবে, এতে করে অসুস্থ রোগী, শিশুসহ অন্য ধর্মের অনুসারীদের জন্য ক্ষতিকারক হবে। তাই বাংলাদেশেও এরকম করা উচিৎ বলে আমরা মনে করি।
Total Reply(0)
আবু দাউদ মুন্সি ৭ জুন, ২০২১, ১:৪৪ এএম says : 0
যত্রতত্র মাইক ব্যবহার করা হলে যেখানে অল্প মানুষ, তারা সেখানেও বেশি মানুষের সমান শব্দ তৈরি করে। যে আলোচনা মসজিদ বা হলরুমে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত, তা দুনিয়ার কাজে ব্যস্ত ও অমনোযোগী মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য খামাখাই পাড়ায়, মহল্লায় মার্কেট ও রাজপথে লাউডস্পিকার দিয়ে বিকট শব্দের সৃষ্টি করে। যার একটি কথাও কেউ কোথাও বসে মনোযোগ দিয়ে শুনে কি-না সন্দেহ। তবে হাজারও মানুষ শব্দদূষণের শিকার হয়। ধর্মীয় বিষয় বলে কেউ কিছু বলে না। মনে করে এটাই নিয়ম। কিছু বললে গোনাহ হয় কি না! তাছাড়া সামাজিকভাবেও নিগৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অথচ ইসলাম এসব সমর্থন করে না। ধন্যবাদ সৌদি আরবকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। আমাদেরও এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
Total Reply(0)
আবির তালুকদার ৭ জুন, ২০২১, ১:৪৫ এএম says : 0
অত্যন্ত ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেখানে কোরআন তেলাওয়াতরত ব্যক্তিকে সালাম না দেওয়া, জরুরি আলোচনায়রত মানুষদের সালাম না দেওয়া, খানা খাওয়া অবস্থায় কাউকে সালাম না দেওয়া, গভীর চিন্তামগ্ন মানুষকে সালাম না দেওয়া, জিকির বা অজিফা পাঠরত মানুষকে সালাম না দেওয়া, জুমার দিনে নামাজ ও খুতবা চলাকালে মুসল্লিদের সালাম না দেওয়া শরীয়তের বিধান। সেখানে ব্যক্তিগত হাজারও কাজে নিমগ্ন মানুষের কানের কাছে ১০টি ২০টি মাইক বেঁধে দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ওয়াজ শুনতে বাধ্য করা কতটুকু যৌক্তিক তা উদ্যোক্তাদের ভেবে দেখতে হবে।
Total Reply(0)
কামাল হোসেন ৭ জুন, ২০২১, ১:৪৫ এএম says : 0
মানুষের কষ্ট হয় এমন কোনো আয়োজন ইসলামি শরীয়ত কোনোদিন সমর্থন করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। নবী করিম (সা.)-এর সুন্নত ও শরীয়তের জনকল্যাণমূলক নীতি এসব বিষয়ে পরিমিতি সংযম ও শান্তির পক্ষে। একজন হৃদরোগীর কষ্ট বিবেচনা করে, কয়েকজন পরীক্ষার্থীর অসুবিধা বিবেচনা করে মাইক বন্ধ রাখা ইসলামের মৌলিক শিক্ষার মধ্যে পড়ে। তাই আমার মতে সৌদি আরব অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত কাজ করেছে।
Total Reply(0)
মো: ইয়াছিন খান সা‘দী ৭ জুন, ২০২১, ৭:০৬ এএম says : 0
নাছিরউদ্দীনশাহ নামে এক ভাই একটি শব্দে বার বার ভুল করেছেন। তিনি লিখেছেন মুতাকাব্বির ! শব্দটি মূলত হবে মুকাব্বির। ধন্যবাদ।
Total Reply(0)
নজরুল ইসলাম ৭ জুন, ২০২১, ৮:৪৫ এএম says : 0
দৈনিক ইনকিলাবের কাছ থেকে আমরা সব সময় এরকম দিকনির্দেশনামূলক লেখা প্রত্যাশা করি
Total Reply(0)
তানিয়া ৭ জুন, ২০২১, ৮:৪৫ এএম says : 0
আল্লাহর লেখক এবং দৈনিক ইনকিলাব সংশ্লিষ্ট সকলকে উত্তম জাযা দান করুক
Total Reply(0)
Noman ৭ জুন, ২০২১, ৯:৫৫ এএম says : 0
মাইকের শব্দ সহনীয় হলে ভালো হয়।
Total Reply(0)
Nasrullah ৭ জুন, ২০২১, ২:১৬ পিএম says : 0
মুখে আজান দেয়া নবীর সুন্নত। যেখানে পাশাপাশি মসজিদ আছে সেখানে মুখে আজান দেয়া যেতে পারে। সুন্নতের অনুসরণে সকল সমস্যার সমাধান।
Total Reply(0)
মনিরুজ্জামান ৭ জুন, ২০২১, ৪:১১ পিএম says : 0
সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হয়। এই সিদ্ধান্তটাও সেরকম ...... আবেগ দিয়ে নয়, বিবেক দিয়ে ইসলামের নিরীক্ষে চিন্তা করলে এটাই সকলের কাছে সঠিক মনে হবে।
Total Reply(0)
গিয়াসউদ্দীন একরাম ৭ জুন, ২০২১, ৪:১১ পিএম says : 0
আজান ছাড়া মসজিদের পাশাপাশি অন্যান্য যেসব জায়গায় অকারণে উচ্চস্বরে মাইক বা লাউডস্পিকার বাজানো হয় সেসব কিছু বন্ধ করতে হবে।
Total Reply(0)
মাজহারুল ইসলাম ৭ জুন, ২০২১, ৪:১৩ পিএম says : 0
ঢাকায় প্রচুর মসজিদ রয়েছে। একটি মসজিদ থেকে আরেকটি মসজিদের দুরত্ব খুব বেশি না। তাই বাংলাদেশেও সউদীর মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে ভালোই হবে।
Total Reply(0)
মোহম্মদ মতিউর রহমান ৮ জুন, ২০২১, ৫:৩৫ এএম says : 0
একবারে সঠিক কথাগুলো ইসলামের আলোকে বলেছেন। মুশকিল হচ্ছে বাস্তবে প্রয়োগ করা। দেশে যে যার খুশিমত করছে, এমনকি আযানের সময় ও ইচ্ছামত ঠিক করে। আমি যে এলাকায় থাকি সেখানে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের ব্যবধানে আযান হতেই থাকে, শান্তিমত নামায পড়া যায় না। আমাদের আলেম সমাজ এর একটা ব্যবসতা করুন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন