শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

খন্দকার এনায়েত উল্লাহ’র সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুদক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০২১, ১২:০২ এএম

পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, ‘এনা পরিবহনে’র মালিক এবং মহানগর আওয়ামী লীগ (ঢাকা দক্ষিণ)-এর সহ-সভাপতি খন্দকার এনায়েতউল্লাহ সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার এ নোটিশের কথা নিশ্চিত করেন সংস্থার সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। নোটিশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে হবে।

দুদক সূত্র জানায়, চাঁদাবাজিসহ অবৈধ পন্থায় শত শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক হওয়া এবং মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করেছেন- মর্মে অভিযোগের ভিত্তিতে গতবছর তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের নামে সংস্থাটি। অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় দুদকের উপ-পরিচালক মো. নূরুল হুদা গতবছর ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)র কাছে খন্দকার এনায়েতউল্লাহ মালিকানাধীন গাড়ির তথ্য-উপাত্ত চান। প্রাথমিক অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি প্রতীয়মান হওয়ায় তাকে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে খন্দকার এনায়েতউল্লাহ তার স্ত্রী নার্গিস সামসাদ, মেয়ে চাশমে জাহান নিশি ও ছেলে রিদওয়ানুল আশিক নিলয়ের নামেও অনেক গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের তথ্য পাওয়া যায়।

অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, দুদক খন্দকার এনায়েতউল্লাহর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান পরিচালনা করছে। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, মালয়েশিয়া ও কানাডায় খন্দকার এনায়েতউল্লাহ পরিবারের রয়েছে সেকেন্ড হোম। সারা দেশে এনা পরিবহনের মালিকানায় রয়েছে ৮শ’ বিলাসবহুল যাত্রীবাহী বাস। প্রতিটি বাসের মূল্য এক থেকে দেড় কোটি টাকা। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে পূর্বাচল সংলগ্ন ৩শ’ ফিট রাস্তার পাশে শত বিঘা আয়তনের বহু প্লট, ময়মনসিংহে শত বিঘা জমি, ভালুকায় ২৩ বিঘা জমিতে অবস্থিত ফুড ফ্যাক্টরি এবং সিলেটে এনা পরিবহনের নিজস্ব টার্মিনাল। মিরপুরে ৭টি বহুতল বাড়ি, কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল।
তবে সম্পদের তথ্য অসত্য বলে দাবি করে আসছেন খন্দকার এনায়েতউল্লাহ তিনি জানিয়েছেন, এনা পরিবহনের মালিকানায় যাত্রীবাহী বাস রয়েছে ৩শ’টি। প্রতিটি গাড়ির ট্যাক্স পরিশোধ করা আছে, ট্যাক্স ফাইলে। কোনো অবৈধ সম্পত্তিই নেই। সম্পত্তি যতটা রয়েছে তা সম্পূর্ণ বৈধ উপায়ে অর্জিত। তিনি বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে কয়েকজনকে সংগঠন থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। দুদকের অনুসন্ধান তাদেরই ষড়যন্ত্রের অংশও হতে পারে।

এদিকে তিতাস গ্যাসের সিবিএ নেতা ফারুক হোসেনের সম্পদ বিবরণী চেয়েও নোটিশ দিয়েছে দুদক। নোটিশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন