শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

পিএসএলের সুলতান মুলতান

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২১, ১২:০৩ এএম

ছয় আসরের চারটিতেই খেলেছে ফাইনাল। শেষ চার আসরেই তিনবার! তবে মাত্র একবার শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল পেশোয়ার জালমি, সেটিও দ্বিতীয় আসর ২০১৭ সালে। এবারও ভাঙা হৃদয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে কোচ ড্যারেন স্যামির দলকে। প্রথমবার ফাইনালে উঠেই তাদের উড়িয়ে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) নতুন চ্যাম্পিয়ন মুলতান সুলতান।
গতপরশু রাতে আবুধাবিতে পাকিস্তানের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ আসরের ফাইনালে মুলতান জিতেছে ৪৭ রানে। সোয়েব মাকসুদ ও রাইলি রুশোর ফিফটিতে দলটি ৪ উইকেটে ২০৬ রান করে মুলতান। জিততে পেশাওয়ারকে গড়তে হতো টুর্নামেন্টটিতে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড। যেতে পারেনি তারা ধারেকাছেও, থমকে যায় মাত্র ১৫৯ রানে।
শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামা মুলতানকে ঝড়ো শুরুটা এনে দেন শান মাসুদ (৩৭) আর অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩০)। সেই ধারায় পেশোয়ার বোলারদের কচুকাটা করতে থাকেন মাকসুদ আর রুশো। মাকসুদ ৩৫ বলে করেন ৬৫ রান, ২১ বলে ৫০ রান করেন রাইলি রুশো। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় রুশো খেলেন ৫০ রানের ইনিংসটি। ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন মাকসুদ। খুশদিল শাহর দুই ছক্কায় আমাদ বাটের করা শেষ ওভারে আসে ২১ রান। শেষ ৮ ওভারে মুলতান তোলে ১১৬ রান! ঝড় বয়ে যায় ওয়াহাব ও বাটের ওপর দিয়ে। দুজনই দেন ৫২ রান করে। তাতেই রান পাহাড়ে চড়ে মুলতান।
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় কামরান আকমল (৩৬) ভালো শুরু করে দিয়ে গেলেও সেই ধারা ধরে রাখতে পারেনি পেশোয়ার। মাঝে একেপেশে লড়াইটা কিছুক্ষণ দীর্ঘস্থায় হয় শোয়েব মালিক (৪৮) আর রাভমান পাওয়েলের (২৩) চতুর্থ উইকেটে ৬৬ রানের জুটিতে। তবে ইমরান তাহির আর ইমরান খানদের বোলিংয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে লক্ষ্যের অনেক আগেই। ইমরান তাহির নেন ৩ উইকেট, খান আর বেøসিং মুজারাবানির শিকার দুটি করে।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি পিএসএলের এবারের আসর শুরু হয়েছিল পাকিস্তানে। টুর্নামেন্ট চলাকালে ছয় জন ক্রিকেটারসহ মোট সাত জনের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হলে মার্চের শুরুতে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয় টুর্নামেন্টটি। সেটিই পরে মাঠে গড়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আসরের শুরুটা খুব বাজে হয়েছিল মুলতানের। প্রথম পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই তারা পায় হারের তেতো স্বাদ। দ্বিতীয় লেগ শুরু করে পয়েন্ট টেবিলে পাঁচে থেকে। এরপরই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। পরের পাঁচ ম্যাচের চারটি জিতে দুইয়ে থেকে শেষ করে প্রাথমিক পর্ব। কোয়ালিফায়ারে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখার পর এবার করল শিরোপা উৎসব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মুলতান সুলতান : ২০ ওভারে ২০৬/৪ (মাসুদ ৩৭, রিজওয়ান ৩০, মাকসুদ ৬৫*, রুশো ৫০, চার্লস ০, খুশদিল ১৫*; সামিন ৪-০-২৬-২, ইরফান ৪-০-২৭-০, ওয়াহাব ৪-০-৫২-০, বাট ৪-০-৫২-০, ইমরান ৪-০-৪৭-২)। পেশোয়ার জালমি : ২০ ওভারে ১৫৯/৯ (আকমল ৩৬, জাজাই ৬, ওয়েলস ৬, মালিক ৪৮, রভম্যান ২৩, রাদারফোর্ড ১৮, বাট ৭, ওয়াহাব ০, ইমরান ০, সামিন ৭*, ইরফান ০*; তানভীর ৪-০-৩৫-১, ইমরান খান ৪-১-২৭-২, মুজারাবানি ৪-০-২৬-২, দাহানি ৪-০-৩৮-০, তাহির ৪-০-৩৩-৩)। ফল : ৪৭ রানে জিতে চ্যাম্পিয়ন মুলতান সুলতান। ম্যান অব দ্য ফাইনাল : শোয়েব মাকসুদ (মুলতান)। ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট : শোয়েব মাকসুদ (মুলতান)।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন