কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে ১২ তম হওয়ার ঘটনায় গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিম‚লক তথ্য সরবারহের বিষয়ে তদন্ত শেষ হলেও এ ঘটনায় দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। সিন্ডিকেট হতে গঠিত তদন্ত কমিটি গত বছরের মার্চের দিকে প্রতিবেদন জমা দিলেও এ প্রতিবেদন এখনো সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করা হয়নি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এত দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পর এমন স্পর্শকাতর একটি ঘটনায় কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট অনেকের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
২০১৯ সালের ৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১২ নভেম্বর এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। এরপর ২৯ নভেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘কুবিতে পরীক্ষা না দিয়ে মেধা তালিকায় ১২ তম’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদ প্রকাশিত হলে ভর্তি পরীক্ষায় ঝালিয়াতি হয়েছে এমন শঙ্কার সৃষ্টি হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। এ ঘটনায় ৩০ নভেম্বর ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।তদন্ত কমিটি জানায়, ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও ২০৬০৫০ রোলধারী সাজ্জাতুল ইসলাম মেধা তালিকায় স্থান পায় কারণ ২০৬১৫০ রোলধারী শিক্ষার্থী আলী মোস্তাকিন ভুলে ওএমআর ফর্মে ‘১’ এর স্থলে ‘০’ পূরণ করে। আর এ ভুলেই পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও অন্য শিক্ষার্থী মেধা তালিকায় স্থান পায়। তখন অভিযোগ উঠে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট কোন সদস্য বিভ্রান্তি ছড়াতে ইচ্ছাকৃতভাবে এ তথ্য সরবারহ করে। এরপর ৫ ডিসেম্বর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারী ব্যক্তি বা গোষ্ঠির দৃষ্টান্তম‚লক শাস্তির দাবিতে সেসময়কার শিক্ষক সমিতি মানববন্ধন করে।
এ ঘটনায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক শিক্ষক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার হতেই কেউ একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্টের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের কাছে বিভ্রান্তিমূলক ঐ তথ্য সরবারহ করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন হয়। এ ঘটনায় সিন্ডিকেট হতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রদান হলেও এখন পর্যন্ত তার আলোকে কোন ব্যবস্থা না নেওয়া হতাশাজনক। একটি মহল এঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে।
এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত উচ্চতর তদন্ত কমিটির আহবায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান জানান, আমরা অতিদ্রুতই তদন্ত শেষ করে বহু আগে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, এ বিষয়টি খুব সম্ভবত এবারের সিন্ডিকেটে যাচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন