লকডাউনের দ্বিতীয় দিন আজ শুক্রবার (২ জুলাই)। কঠোর বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে গতদিনের মতো আজও সিলেটের মাঠে রয়েছে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী। নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দিচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিটি বাহিনীর সদস্যরা। এমনকি গাড়ি দাঁড় করিয়ে করছেন জিজ্ঞাসাবাদ। সদুত্তর দিলে গন্তব্যে যেতে পারছেন অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থার নেয়ার পাশাপাশি তাদের ঘরে ফিরিয়ে দিতে দেখা যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। সকালে সিলেটের প্রধান প্রধান সড়কে লোকজন দেখা গেছে কম। এছাড়া সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি হওয়ায় অনেকেই প্রয়োজন থাকলেও বের হননি ঘর থেকে। অপরদিকে হাতেগোনা রিকশা ও মোটরসাইকেল ছাড়া নেই অন্যান্য যানবাহন।
সিলেটের মাছ ও বিভিন্ন কাঁচাবাজারে আজ শুক্রবার সকালে ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল। সাধারণত ছুটির দিন সকালে বাজারমুখী একটা প্রবণতা রয়েছে নগরবাসীর। এদিকে, নিরবিচ্ছিন্নভাবে লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। আজ সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে এ বাহিনীর সদস্যরা টইল দিচ্ছেন সিলেট জুড়ে। লকডাউন অমান্য করে প্রথম দিন অকারণে বাইরে বের হওয়ায় মহানগরীসহ সিলেটের ১৩টি উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করেছে ৩৩টি মোবাইল টিম। সিলেট নগরী ও সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২২০টি। সেই সাথে ২ লাখ ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গত বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) এসব অভিযান পরিচালনা করে সিলেটের প্রশাসন ও পুলিশ।
সিলেটের প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযথভাবে লকডাউন পালন ও স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ নিশ্চিত করতে লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সিলেট মহানগর ও সকল উপজেলায় ৩৩ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট একযোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে ১৭২টি মামলা ও জরিমানা করা হয় ২ লাখ ৬'শ টাকা। এছাড়া লকডাউনে বিধি নিষেধ অমান্য করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মহানগর পুলিশ নগরীর বিভিন্ন স্থানে এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর উপস্থিতিতে জরিমানা আদায় করা হয় সর্বমোট ২৫ জনকে ১১ হাজার টাকা।
এসময় পুলিশের অভিযানে সিএনজি অটোরিকশা ৯টি, মোটরসাইকেল ৩০টি, প্রাইভেট কার ২টি ও অন্যান্য ৭ টি মামলাসহ মামলা করা হয় সর্বমোট ৪৮টি। এবং সিএনজি অটোরিকশা ১৮ টি, মোটরসাইকেল ৫৯ টি, প্রাইভেট কার ৩ টি, অন্যান্য ২৪টি সহ গাড়ি আটক করে পুলিশ মোট ১০৪ টি। মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক দল লকডাউন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কেউ লকডাউন না মেনে বাহির হলে তার বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে জরিমানার পাশাপাশি আইনী ব্যবস্থা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন