মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নাজিরপুরে লকডাউন সফল করার জন্য কঠোর অবস্থান নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। স্বাস্থ্য বিধি না মেনে চলা এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এই শাটডাউন বাস্তবায়নে মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাষণ।
রবিবার (৪ জুলাই) বিকালে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাখাওয়াত জামিল সৈকতকে টহল দিতে দেখা গেছে। এসময় তিনি মাস্ক পরার জন্য সতর্ক করে কিছু কিছু মাস্ক বিতরন করেন । এছাড়াও নাজিরপুর উপজেলার বিভিন্নস্থানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওবায়দুর রহমান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আশ্রাফুজ্জামান এর নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে লকডাউন প্রতিপালনে কঠোর ভুমিকা পালন করছে বলে জানা যায়। এসময় স্বাস্থবিধি না মানায় ৪ জুলাই রবিবার দুপুর ২ টার পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারায় সংগঠিত অপরাধ আমলে নিয়ে ৪ টি মামলাল মোট ৪ জনকে অর্থদন্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাখাওয়াত জামিল সৈকত।
এদিকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারা নানা অজুহাতে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন এবং স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানাসহ আইনের আওতায় আনা হবে বলে বিভিন্ন ভাবে সতর্ক করতে দেখা গেছে। এছাড়া মোটরসাইকেল এবং বিভিন্ন যানবাহনের গতিবিধি রোধ করার জন্য শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে পুলিশ চেক পোস্ট।এর পরেও বিভিন্ন স্থানে কিছু অটো রিক্সা, ভ্যান, মোটর সাইকেল সহ বিবিন্ন যানবাহ চলতে দেখা গেছে। তবে শহর এলাকায় বেশ কঠোর লকডাউনপালন করতে দেখা গেলেও গ্রামে হন্জে তেমনলকডাউন পালন হচ্ছে না বলে জানা গেছে। বিভিন্ন অলিগলির দোকানগুলাতে চায়ের আড্ডা দিতে দেখা গেছে। ব্যবহার করছে না মাস্ক। স্বাস্থ সচেতনতায় বা লকডাউন মানতে হবে সে রকম কোন অনুভুতিই দেখা যায়নি সাধারন মানুষের মাঝে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন