সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধি নিষেধের সপ্তম দিন বুধবারও চুয়াডাঙ্গায় কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। চুয়াডাঙ্গার সড়কগুলোতে ছিলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারি। সকাল থেকে জেলার প্রবেশ পথগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে তদারকি করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। লকডাউন এলাকাগুলোতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন ১৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অপ্রয়োজনে বাইরে আসা ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের জরিমানা করছে ভ্রাম্যমান আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ হোসেন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৯টি ভ্রাম্যমান আদালতে ৩৮টি মামলায় ৫২ জনকে ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও ২ জনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদÐ প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। লকডাউন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়মিত টহল অব্যাহত রেখেছে ৪ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ৩ প্লাটুন বিজিবিসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
এদিকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান বেলা ১২টা পর্যন্ত খোলা ছিল। সব ধরনের শপিংমল, দোকান ও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারী রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি ছিল অন্য দিনের চেয়ে অনেক বেশী। শহরের রাস্তা গুলোতে বেশী মাত্রায় যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। অকারনে কিছু বখাটে ছেলে শহরের রাস্তায় ও পাড়া মহল্লায় দ্রæতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে বেড়াচ্ছে। এটা সারাদিন রাত অব্যাহত রয়েছে। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ চোখে পড়েনি। পাড়া মহল্লার অলিতেগলিতে দিনরাত বখাটেদের আড্ডা দিতে দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অবৈধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, থ্রিহুইলার, স্যালোইঞ্জিন চালিত আলমসাধু, নসিমন ও করিমনে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করছে। এ কারনে চুয়াডাঙ্গা জেলায় আরো বেশী করোন সংক্রমিত হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে সংক্রমিত ব্যক্তিরা যেখানে সেখানে ইচ্ছামত চলাচলের কারনে এ জেলায় ভাইরাস দ্রæত ছড়াচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন