সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কলাপাড়ায় কঠোর লকডাউনের মধ্যে পশুরহাট !

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০২১, ৮:২৯ পিএম

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে। এ লকডাউন উপেক্ষা করে কলাপাড়ার কুয়াকাটা পৌর এলাকায় বসেছে জমজমাট পশুর হাট। পৌর সদরের ৭ নং ওয়ার্ডের মাহবুবুর রহমান সড়কে শনিবার (১০ জুলাই) এ হাট বসিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। লকডাউনের মধ্যে এক কিলোমিটার দীর্ঘ এ পশুর হাটে হাজারো ক্রেতা বিক্রেতা পশু বেচা কেনা করতে আসলেও কারও স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলাফেরা করছে। বেশিরভাগ ক্রেতা বিক্রেতাদের মুখে ছিল না মাস্ক। ছিলো না কোন সামাজিক দূরত্ব। এ নিয়ে এলাকার সচেতন মহলের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বাজার কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো রকম পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাট বন্ধ রাখা সম্ভব হয়নি।

জানা গেছে, কুয়াকাটা পৌর মেয়র এবছর নতুন পশুর হাট ইজারা দিয়েছেন। কিন্তু পশুর হাটের জন্য নির্ধারিত কোন জায়গা না থাকায় পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের মাহবুবুর রহমান সড়কে প্রতি শনিবার হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কার্পেটিং সড়কেই প্রতি শনিবার হাট বসছে। প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে হাজারো ক্রেতা বিক্রেতা ভীড় জমিয়েছে কোরবানির পশু কেনা বেচা করতে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে পৌর কর্তৃপক্ষ কিংবা ইজারাদারের কোন উদ্যোগ চোখে পরেনি। প্রশাসনও এবিষয়ে উদাসীন।

এ ব্যাপারে কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, আমি ১০ফুট পরপর গরু বাঁধতে বলেছিলাম। কিন্তু বিক্রেতারা তা মানেনি। উপর থেকে ফোন পাওয়ার পর আমি গরু বাজার ভেঙ্গে দিয়েছি।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক সাংবাদিকদের জানান, গরুর হাট বসানো বন্ধ রাখার জন্য এর আগে পৌর মেয়রকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরপরও যদি হাট বসানো হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন