শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কলাপাড়ায় দৌড়ে পালিয়েছে গরু ক্রেতা ও বিক্রেতা

ভ্রাম্যমান আদালত ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০২১, ৭:২৭ পিএম

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গরু হাটে সোমবার সকাল থেকে কেনা বেচা চলছিল। এসময় ছিলনো কোন সামাজিক দূরত্বেও বালাই। ঘড়ির কাটায় ঠিক ১১ টা। সেই মুহূর্তে হাজির ভ্রাম্যমান আদালত। সাথে ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশের একটি টিম। এদের দেখা মাত্রই হাট থেকে গরু ক্রেতা ও বিক্রেতারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎ বন্ধু মন্ডল সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুল আইন ও সড়ক পরিবহন আইনে মোট ১০ জনকে চার হাজার পাঁচশত ষাট টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। এছাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমার বাজার সংলগ্ন পশুরহাটটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলমান লকডাউনের মধ্যে গত মঙ্গলবার থেকে সোমবার পর্যন্ত সাত দিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসেছিল পশুরহাট। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হলেও এক শ্রেণির মুনাফালোভী ইজারাদার মানছেন না বিধিনিষেধ। শরীরের সঙ্গে শরীর লাগিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ত্রেতা-বিক্রেতারা। সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই এসব পশুরহাটগুলোতে।

সোমবার সকালে পাখিমারা বাজারে কোরবানীর জন্য গরু কিনতে যায় মোনাছেফ ব্যাপারী। তিনি সোনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশের একটি টিম দেখে গরু না দেখেই ফিরে আসেন। পাখিামার বাজারে ব্যবসায়ি আমির হোসেন বলেন, সোমার দুপুর ১১ টার দিকে ভ্র্যামমান আদালতের খবর শুনেই গরু ফেলে রেখে ক্রেতা বিক্রেতার দিক বেদিক হয়ে ছুটাছুটি শুরু করে। এরপর পন্ড হয়ে গেছে পাখিমারা বাজারের পশুরহাটটি।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎ বন্ধু মন্ডল বলেন, গ্রাম্য বাজারে স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করায় ১০জনকে পৃথক মামলায় অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া পাখিমারা বাজারের অবৈধ পশুরহাটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন