শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সখিপুরে লকডাউন বিধি নিষেধ অমান্য করে বসেছে পশুর হাট

সখিপুর(টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০২১, ২:৫০ পিএম

কঠোর লকডাউনের মাঝে সরকারি বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার নাকশালা হাটে পশুর হাট বসেছে। হাটের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন আগে থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আসন্ন কোরবানির ঈদকে ঘিরে মঙ্গলবার(১৩জুলাই) উপজেলার অন্যতম পশুর হাট নাকশালা হাটে বসেছে পশুর এই হাট। সাপ্তাহিক মঙ্গলবার হাটের দিন এই স্থায়ী পশুর হাট বসে। ঈদের দিন ঘনিয়ে আসায় এই হাটে গরু, ছাগল, ও ভেড়া নিয়ে আসেন বিক্রেতারা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট।

স্থানীয় প্রশাসনের কোনো নির্দেশনা না থাকলেও করোনার সংক্রমণ এড়াতে এই পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলছে পশু কেনাবেঁচা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি সম্পর্কে জানলেও মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। অনেকেই স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা জেনেও মুখে পরেন নাই মাস্ক। কারও কারও মুখে মাস্ক দেখা গেলেও তা ঝুলছে থুঁতনিতে। হাটের ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় না রেখে ঘেঁষাঘেঁষি করেই চলছে পশু বেঁচাকেনার কাজ। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা সংক্রমণ ঝুঁঁকিতে সচেতন অনেক মানুষ হাটে প্রবেশ করতে চাইছেন না।গরু কিনতে আসা ক্রেতা মো.লাল মিয়া বলেন, আমি মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গরুর বাজারদর দেখতে এসেছি। কিন্তু এখানে স্বাস্থ্যবিধি অনেকেই মানছেন না, করোনা নিয়ে কারও ভয়ভীতি নেই। পশুর হাটে পুরোদমে বেঁচাকেনা শুরু হলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বেড়ে যাবে।
নাকশালা বাজার হাটে গরু বিক্রি করতে আসা মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, মাস্ক পরিধানের ইচ্ছা থাকলেও গরু বাজারের ভেতরে এসব নিয়ম মেনে চলা কঠিন কাজ। মানুষের ভিড়, বৃষ্টি-বাদল, পশুর যত্ন নেয়াসহ অনেক ব্যস্ত থাকতে হয়। করোনার ঝুঁঁকি জেনেও আমরা সব সময় স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারি না। ছাগল বিক্রি করতে আসা এক কৃষক পিয়ার আলী জানান, করোনার কথা জানলেও বেশিরভাগ মানুষই তো নিয়ম মানে না, মাস্ক পরে না। আমি একা পরলে আর কী হবে?

নাকশালা বাজার পশুর হাটের ইজারাদার মোঃ সোনা মিয়া বলেন, পশুরহাট প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার বসে। দুই লাখ টাকা দিয়ে আমি এই হাট ইজারা নিয়েছি। আমি ক্ষতিগ্রস্থ গত বছর থেকেই। এ-ই হাটের ব্যাপারে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গিয়েছিলাম।তার মৌখিক অনুমতিক্রমে এ-ই হাট চালাচ্ছি। করোনার ঝুঁঁকি সম্পর্কে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতন করতে মাইকিং করা হয়। এছাড়া করোনা সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য হাটে প্রবেশের সময় ক্রেতা বিক্রেতাদের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করাসহ বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়। করোনা সংক্রমন এড়াতে এ হাটে কোন ভ্রাম্যমান আদালতও লক্ষ্য করা যায়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন