বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

তিন ফসলি জমি অনাবাদী

কলাপাড়ায় প্রভাবশালীদের খাল দখল কৃষকরা চরম ভোগান্তিতে

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০২১, ১২:০৫ এএম

কলাপাড়ায় ধানখালী ইউনিয়নের পাঁচজুনিয়া গ্রামে বিস্তীর্ণ ফসলী মাঠের পানি নিস্কাশনের বিকল্প হিসেবে সরকারি রাস্তার ওপর ছিলো একটি মাত্র কালভার্ট। আলমগীর হাওলাদার ও মোক্তার হোসেন নামে দুই প্রভাবশালীর দখলে মাটির নিচে তাও বিলীন হয়ে গেছে বহু আগে। চলমান মৌসুমে দু’হাজার একর জমির বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে স্থায়ী পানিবদ্ধতা। এর ফলে এ বছরও পতিত হয়ে পড়ে আছে এসব তিন ফসলী জমি।
দীর্ঘ চার কিলোমিটার সরকারি খালে কোন ধরনের অনুমোদন কিংবা বন্দোবস্ত না নিয়েই তৈরি করা হয়েছে ১৬টি মাছের ঘের। রেকর্ডীয় সম্পত্তির মুখশা দাবিতে দখল করে নিয়েছে স্থানীয় ১১ প্রভাবশালী। ফলে কৃষিতে পানি নিষ্কাশন প্রতিবন্ধকতায় দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে অনাবাদী থাকছে প্রায় দু’হাজার একর তিন ফসলী জমি। ভুক্তভোগী চাষিরা বলছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মিলছে না কোন প্রতিকার। নেয়া হয়নি প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কোমর সমান পানিবদ্ধতার কারণে আমন মৌসুমের এ সময়ে বীজ তৈরি ও রোপন করতে পারেননি ওই এলাকার কৃষকরা। কৃষকদের অভিযোগ প্রভাবশালী শহীদ হাওলাদার, খলীল মুন্সী, স্বপন হাওলাদার, জাহিদ মৃধা, জহিরুল মুন্সী, হাসান হাওলাদার একটি করে এবং আলমগীর হাওলাদার, ওহাব মৃধা, আফজাল হাওলাদার, আনছার উদ্দিন মোল্লা ও রিয়াজ মোল্লা দু’টি করে ঘের তৈরি করে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে।
কৃষক জাহাঙ্গীর আলম মৃধা জানান, প্রায় দেড় একর জমির মালিক তিনি। পানিবদ্ধতার কারণে গত বর্ষা মৌসুমে নষ্ট হয়ে গেছে তার ক্ষেতের ধান। আরেক কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, তার সাড়ে ৫ একর জমিতে চাষাবাদ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। আরেক কৃষক শাহাবুদ্দিন হাওলাদার বলেন, তার চার একর জমির মৌসুমি ধান পানিবদ্ধতার কারণে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রিয়াজ মোল্লা বলেন, ২৫ বছর আগে থেকেই এই ঘের করা হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে পাঁচজুনিয়া সরকারি রাস্তার ওপর পানি নিস্কাশনের জন্য চেয়ারম্যান পাইপ বসিয়ে দিয়েছিলেন। সেখানে আলমগীর হাওলাদার ও মোক্তার হোসেন মাটি কেটে ভরাট করে দিয়েছে। এ কারণে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক জানান, এ বিষয়টি নিয়ে কৃষকদের অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে এবং আমি নিজে গিয়ে ওই খালটি উদ্ধারে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন