ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের শালিহর এ মোতালিব বেগ দাখিল মাদ্রাসার জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারনে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ তলা ভবন নির্মান কাজ বন্ধের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের প্রক্ষিতে ১৩ আগস্ট শনিবার সরেজমিনে গেলে জানা গেছে , ১৯৮০ সালে মৃত তৈয়ব উদ্দিন বেগের ছেলে এ মোতালিব বেগ মাদ্রাসাটি প্রতিষ্টা করেন। প্রতিষ্টা লগ্নে থেকেই তিনি প্রতিষ্টানকে প্রয়োজনীয় জমি না দিয়ে নিয়মবহিঃভুত ভাবে বিভিন্ন দাগে ৭ কাঠা ৭ শতক জমি লিখে দিয়েছেন। নিয়মানুসারে প্রতিষ্টানের নামে ১০ কাঠা সম্পত্তি দিতে হয়। এক্ষেত্রে প্রতিষ্টাতা এ মোতালিব ৭৭ শতক জমি থেকে ৩৫ শতক জমি স্থানীয় ঈদগাঁ মাঠে ওয়াকফে্ করে দান করেন।
অপরদিকে তিনি এই জমি থেকে ৫ শতক জমি পারিবারিক কবরস্থান হিসাবে ব্যবহার করে চলছেন।
দলিলমুলে জানা গেছে মৃত হামিদ উদ্দিন বেগের ছেলে মৃত তাহের উদ্দিন বেগ আব্বস আলী বেগ ও মৃত তৌয়ব উদ্দিন ছেলে ফজলুর রহমান বেগ ১৯৭৭ সালে খতিয়ান ১০৫০ সেটেলম্যান্ট ১৫২৯ দাগের উত্তরে ১৫১৮ দাগে ৭৭ শতাংশ জমি মধ্য থেকে ঈদ গা মাঠের জন্য ৩৫ শতাংশ জমি ওয়াকফা করে দেন। ৭৭ শতক জমি থেকে মোতালিব বেগের বড় ভাই সাত্তার বেগ মসজিদের নামে ৯ শতক জমি ওয়াকফা করে দেন।
পরে উক্ত জমি থেকে মোতালিব বেগ জাল দলিলের মাধ্যমে একক ভাবে মাদ্রাসার নামে ৫০ শতক জমি লিখে দেন। যে খানে জমির পরিমান ৫০ শতকের চেয়েও অনেক কম।
সম্পতির শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ৪৪ হাজা ৯৬১ টাকায় ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের ৪ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নার্মানের কাজ শুরু করে। কাজের ৪০ ভাগ অগ্রগতি হলে প্রয়োজনীয় দলিলাদি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর দাখিল করার পর এ বিষয়টি কতৃপক্ষে নজরে আসে। জমিসংক্রান্ত এ জটিলতার কারণে প্রায় ৭/৮ মাস যাবত ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। এদিকে এ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠনেও জটিলতা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিষ্টতা এ মোতালিব বেগ জানিয়েছেন মাদ্রাসা ভবন নির্মানে জমির দাগের জটিলতার কারনে মাদ্রাসার নামে নামখারিজের জন্য ভুমি অফিসে আবেদন করা হয়েছে। হার্টের অসুখের সমস্যার জন্য অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর দিতে তিনি অপরগতা স্বীকার করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন