নেছারাবাদ উপজেলার ৫নং জলাবাড়ি ইউনিয়নের ইদিলকাঠি বাজার সংলগ্ন খালের লোহার ব্রিজটি চার বছর ধরে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। ২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর রাতে ওই বাজার পুলটি ভেঙে যায়। ব্রিজ ভাঙার সাড়ে তিন বছরেও ব্রিজটি মেরামতের উদ্যেগ নিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ।
বাজারের জনগুরুপ্তপূর্ন ব্রিজটি মেরামত অভাবে স্থানীয় মোটরবাইক ও অটোচালকরা নিজেদের উদ্যেগে তা মেরামত করে যাত্রী ব্রিজটি পার হচ্ছেন কোন রকমে। তারা ব্রিজের ভেঙে পড়া অংশে সুপারি গাছ, বাঁশ ও কাঠের তক্তা দিয়ে মেরামত করে যাতায়াত করছেন।
জানা যায়, খালের ওপরে ৪০ মিটার দীর্ঘ ওই ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষ জেলা-উপজেলা সদরে যাতায়াত করে। এ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠি জেলা শহরে যাতায়াতের জন্য একমাত্র মাধ্যম ওই ব্রিজ। ব্রিজটি মেরামত অভাবে এখন ঝুঁকির মধ্য রয়েছে পথচারিসহ স্থানীয় হাজারো মানুষ। ব্রিজের ভেঙে পড়া অংশ দীর্ঘদিন পানির নিচে পড়ে থাকায় মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বেহাত হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে ব্রিজের ভাঙা মাল।
ইদিলকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন বাবুল বিশ্বাস জানান, ব্রিজটি ভাঙার পড়ে স্থানীয়দের উদ্যেগে তা মেরামত করে ব্রিজটি ব্যবহার হতো। এখন ক্রমেই ভাঙা ব্রিজটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ব্রিজ দিয়ে পারাপারে বেশি ঝুঁকির মধ্য শত শত শিক্ষার্থীসহ যাত্রীবাহী মোটরবাইকগুলো। যেকোন সময় বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণহানি হতে পারে অনেকের।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, আমি নির্বাচিত হয়ে সবেমাত্র শপথ গ্রহণ করেছি। ব্রিজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদে কথা বলবো।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মীর আলী শাকির জানান, ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পর এলজিইডির হেড অফিসকে বিষয়টি জানানো হয়। অর্থ বরাদ্দসহ পরবর্তী নির্দেশনা আসেনি বলে ব্রিজটি মেরামত করা সম্ভব হয়নি। ওখানে একটি পাকা গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করার বিষয় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন