প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত থাকা ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ আয়োজন নিয়ে যেন চোর-পুলিশ খেলা শুরু করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশ (বাফুফে)। চলতি মাসের শুরুতে দেশে কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ার পর স্থগিত হয় বিপিএলের খেলা। মাঝে আট দিনের জন্য শিথিল করলেও সরকার ফের ২৩ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন জারি করে। কিন্তু এরই মাঝে বাফুফে ঘোষণা দেয় ঈদুল আযহার ছুটির পর ২৪ জুলাই থেকে মাঠে গড়াবে লিগ। খেলার সূচী চুড়ান্ত করে তা তারা গণমাধ্যমকে সরবরাহও করে। তবে শেষ পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে থাকতে পারেনি দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা। লকডাউনের কারণেই তারা ফের লিগ স্থগিত করতে বাধ্য হয়। পরে বাফুফের ঘোষণা ছিল ৩০ জুলাই থেকে মাঠে গড়াবে বিপিএলের খেলা। এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও বৃহস্পতিবার রাতে জারি করে তারা। কিন্তু কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ফের নিজেদের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়িয়ে গতকাল বিকালের আগেই লিগ স্থগিত করে বাফুফে। দেশের সর্বোচ্চ আসর প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ নিয়ে এভাবেই লুকোচুরিতে মেতে উঠেছেন বাফুফের কর্তারা।
পরশু রাতে বাফুফের সরবরাহকৃত ফিকশ্চার অনুযায়ী কাল বিকাল চারটায় বিপিএলের দু’টি ম্যাচ ছিল। ম্যাচ খেলতে পুরান ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ ও গোপীবাগের ব্রাদার্স ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। অন্যদিকে চট্টগ্রাম আবাহনী ও উত্তর বারিধারার ম্যাচ ছিল কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। এ দুই দলও মাঝপথ থেকে ফিরে এসেছে। কারণ বেলা তিনটায় বাফুফে এই চার ক্লাব এবং গণমাধ্যমকে জানায়, লিগের খেলা ফের স্থগিত করা হল। লকডাউনের মধ্যে এভাবে লিগ স্থগিত করার তৃতীয় ঘটনা এটি। ১ জুলাই কঠোর লকডাউনের মধ্যে প্রথম দিন খেলা চালিয়ে গভীর রাতে লিগ স্থগিত করেছিল বাফুফে। ঈদের পর ২৪ জুলাই লকডাউনের মধ্যেই খেলা চালানোর ঘোষণা দিলেও ২৩ জুলাই রাতে তা ফের স্থগিত করে। আর কাল তো ক্লাবগুলোকে মাঠে এনে বলেছে খেলা হবে না!
এতেই স্পষ্ট কতটা অপেশাদারিত্ব নমুনা দেখাচ্ছে বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটি। সরকারের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি না পাওয়ার পরও খেলা আয়োজনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করছে বাফুফে, আবার নিজেদের অবস্থান থেকে সরেও দাঁড়াচ্ছে তারা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বিপিএল নিয়ে যেন চোর-পুলিশ খেলায় মেতে উঠেছে বাফুফে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন