শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

অনেক ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান তথ্য লুকিয়ে রাখে। সময়মত তথ্য প্রকাশ করে না, আবার প্রকাশ করলেও তা বহু আগের তথ্য ওয়েবসাইটে দিয়ে রাখে। এতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত চিত্র বোঝা যায় না, বিভ্রান্ত হন সাধারণ মানুষ। এক্ষেত্রে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
গত বৃহষ্পতিবার ব্যাংকিং অ্যালমানাক তৃতীয় সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও গ্রন্থটির এডিটোরিয়াল বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. নজরুল হুদা, সাবেক রাষ্ট্রদূত লিয়াকত আলী চৌধুরী, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন।
এছাড়াও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) চেয়ারম্যান ও আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মমিনুল ইসলাম, জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. জামালউদ্দিন আহমেদ, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এফসিএ মো. খলিলুর রহমান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিপিআরসির পরিচালক সৈয়দ জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও ব্যাংকিং অ্যালমানাকের প্রকল্প পরিচালক আবদার রহমান।
সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গবেষক ও বিনিয়োগকারীদের জন্য গবেষণা গ্রন্থ ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও দেশি-বিদেশি গবেষণা সংস্থা, যারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করে তাদের জন্য এই ব্যাংকিং অ্যালমানাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা এ বইটিতে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য একসঙ্গে পাবেন, যা তাদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। শুধু তাই নয়, গ্রন্থটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট গভর্নেন্স ও জবাবদিহিতার বিষয়টিকে আরও শক্তিশালী করবে।
ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ গবেষক দল সম্পাদিত এটি ধারাবাহিক তৃতীয় প্রকাশনা। এই তথ্য ভান্ডারের মাধ্যমে মানুষ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত চিত্র জানতে পারবে। এতে ব্যাংক খাতে সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম ও আমানত, ঋণ, পারফরমেন্স, সেবা ও প্রডাক্টের একটি তুলনামূলক চিত্র এক মোড়কে ফুটে উঠেছে এই গ্রন্থে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নানামুখী উদ্যোগ ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিশাল কর্মযজ্ঞের সংকলিত হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত গবেষণা গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে। আগামীতে যে চতুর্থ গ্রন্থটি প্রকাশ হবে তাতে আরও নানা নতুন তথ্য সংযুক্ত হবে বলে আশা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে নজরুল হুদা বলেন, করোনাকালে ১০০টি ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে। কাজটি সহজ ছিল না। গ্রন্থটির ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা দরকার। তাহলে এ পরিশ্রম আরও সার্থক হয়ে উঠবে।
নূরুল আমিন ব্যাংকিং অ্যালমানাককে ব্যাংক-আর্থিক খাতের একটি তথ্যকোষ বলে মন্তব্য করে বলেন, গ্রন্থটি সম্পর্কে বিশিষ্ট গবেষক, ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদদের মতামত সংগ্রহ করলে গ্রন্থটি আরও সমৃদ্ধ হতো। মমিনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের যোগ্য নেতৃত্বের কারণে করোনার সময়েও গ্রন্থটির তৃতীয় সংস্করণ সম্ভব হয়েছে।
বইটিতে অনেক তথ্য একসঙ্গে করা হয়েছে। সব ব্যাংক যেমন খারাপ নয়, তেমনি সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানও খারাপ নয়। গুটি কয়েক খারাপ প্রতিষ্ঠানের মাশুল দিতে হয় ভালো প্রতিষ্ঠানকে। যাদের দুর্বলতা আছে, তারাই কেবল তথ্য লুকিয়ে রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন