মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় মক্তব পড়তে যাওয়ায় মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরবী শিক্ষার জন্য স্থানীয় মসজিদের ইমামের কাছে মক্তব পড়তে গেলে শিশুকে ইমামের থাকার রুমে দরজা বন্ধ করে শ্লীলতাহানীর চেষ্ঠা করা হয় বলে অভিযোগ উঠে।
বুধবার সকালে উপজেলার ফুকুরহাটি ইউনিয়নের ভাশিয়ালী কৃষ্টপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শ্লীলতাহানীর চেষ্ঠার শিকার হওয়া একই গ্রামের এক দিনমজুরের কন্যা। সে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সমাজের মাতাব্বরা সকালে এলাকায় সভা বসিয়ে এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় জানাজানি হওয়ার পর এলাকাবাসির মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ভূক্তভুগি ছাত্রীর অভিযোগ, বুধবার সকালে উপজেলার কৃষ্টপুর মসজিদের ইমাম মাওলানা মো.মোকাব্বের হোসেন এর কাছে সে সহ আরো কয়েকজন আরবী শিখতে যায়। হুজুরের থাকার ঘর ঝাড়ু দেয়ার নামে তাকে ও আরেকজনকে থাকতে বলে থাকতে বলে বাকী সবাইকে ছুটি দেয় ইমাম। এরপর অপর জনকে হুজুরের খাবারের বাটি ধোয়ার জন্য বাহিরে পাঠিয়ে তাকে ঘর ঝাড়ু দিতে বলে। সে টেবিলের নিচে থেকে ঝাড়ু বের করতে গেলে ইমাম দরজা বন্ধ করে শিক্ষার্থীকে হাত ধরে এখন ঝাড়ু দিতে হবে না পরে দিস বলে বিছানার উপর বসতে বলে। এ সময় শিক্ষাথী ভয়ে ওরে বাবা বাবা বলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কাছে ঘটনা জানায়। পরে এলাকায় ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মসজিদ কমিটির সভাপতি মো.ফজলুর রহমান ও সহসভাপতি আবুল হাসেমসহ এলাকার মাতাব্বরা সভা বসিয়ে বিচারের নামে উল্টো শিক্ষার্থী ও তার পরিবারকে গাল মন্দ করে এ কথা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকী দেয়।
কান্না জরিত কন্ঠে শিক্ষার্থী বলেন, এর আগেও এই হুজুর আমার সাথে এ রকম ব্যবহার করেছিল। পরে আমি মক্তবে যাওয়া বন্ধ করে দেই। পরে বাবা মা বকা দেওয়ায় পুনরায় মক্তবে যাই। আর পরে বিচারে আমাকে কোন কথা বলতে না দিয়ে আমাকে দিয়ে মাফ চাইয়ে ছেরে দেয়।
কৃষ্টপুর মসজিদ কমিটির সভাপতি মো.ফজলুর রহমান মোবাইলে জানায়, মক্তবে পরতে যাওয়ার পর ইমামের কাছে এরকম ব্যবহার পেয়েছে বলে মেয়ের বাবার কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর এলাকার মেম্বারসহ সকল গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বসে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
কৃষ্টপুর মসজিদের ইমাম মাওলানা মো.মোকাব্বের হোসেন মোবাইলে জানায়, মেয়েটির অভিযোগ সত্য নয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানায়, ঘটনাটি ইমাম সাহেবের সম্মানে দিকে চেয়ে সমাধান করে দেওয়া হয়েছে।
সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো.আশরাফুল আলম বলেন, এ বিষয়ে কেও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নি। লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন