বাংলাদেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা কাঁচামালের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ভারত থেকে আমদানি করেন। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান জানান, সম্প্রতি ভারতের বনগাঁ কাস্টমস পয়েন্টে আমদানি করা কাঁচামাল ছাড় করতে বেশি সময় লাগছে। এতে করে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিজিএমইএ অফিসে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সাক্ষাতকালে তিনি ভারতীয় অংশের কাস্টমসে কাঁচামাল দ্রুত ছাড় করানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।
আমদানি-রফতানি মসৃণ করা গেলে উভয় দেশের দ্বি-পক্ষীয় বাণিজ্য বাড়বে জানিয়ে ফারুক হাসান বলেন, করোনা মহামারির কারণে বিশ্ব বাণিজ্য অত্যন্ত কঠিন সময় অতিক্রম করছে। বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বাণিজ্যও একই সমস্যা মোকাবিলা করছে। স্থানীয় উদ্যোক্তারা সরকার ও সরবরাহ চেইনের অংশীদারদের সহায়তা নিয়ে এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বিদেশি ক্রেতারা আগের মতো বাড়তি সময় দিচ্ছেন না। তারা পোশাক রপ্তানির জন্য স্বল্পতম সময়ের লিড টাইম নির্ধারণ করে দিচ্ছেন। সে কারণে উদ্যোক্তাদের জন্য কাঁচামাল সময়মতো পাওয়া খুবই জরুরি।
সাক্ষাতকালে বিজিএমইএ অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে পিআর অ্যান্ড মিডিয়া লাউঞ্জ উদ্বোধন করেছেন বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। এ সময় হাইকমিশনারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ ও দ্বিতীয় সচিব (বাণিজ্য) বাণিজ্যিক প্রতিনিধি ড. প্রম্যেশ বাসাল এবং ভারতীয় হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পিআর অ্যান্ড মিডিয়া লাউঞ্জ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ এর সিনিয়র সহ সভাপতি এস.এম. মান্নান কচি, সহ সভাপতি মো. শহিদউল্লাহ আজিম, পরিচালক আসিফ আশরাফ, মো. মহিউদ্দিন রুবেল, তানভীর আহমেদ ও আব্দুল্লাহ হিল রাকিব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন