নগরীর মুরাদপুরে চশমা খাল সংলগ্ন বড় নালায় পড়ে নিখোঁজ ছালেহ আহমদের (৫০) সন্ধানে তল্লাশি অব্যাহত আছে। শুক্রবার সকালে তৃতীয় দিনের মতো খাল-নালায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। নগরীর বহদ্দারহাট শমসের পাড়া এলাকায় খালে নেমে অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। খালের জঞ্জাল ঠেলে খোঁজা হচ্ছে লাশ। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি। ছালেহ আহমদের স্বজনদের অনেকে খাল নালায় তার লাশ খুঁজছেন। পরিবারে চলছে আহাজারি।
বুধবার সকালে পা পিছলে নালায় পড়ে নিখোঁজ হন ছালেহ আহমদ। তখন বৃষ্টিতে সড়ক, নালা একাকার হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পানিতে স্রোত থাকায় তিনি দ্রুত তলিয়ে যান। তিনি নগরীর চকবাজার এলাকায় সবজির ব্যবসা করতেন, তার বাসাও চকবাজারে। চকবাজার থেকে ফটিকছড়ি মাইজভান্ডারে যেতে মুরাদপুর গিয়েছিলেন তিনি। বাস থেকে নেমে রাস্তা পার হতেই নালার পানিতে পড়ে যান ছালেহ আহমদ। ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ ছালেহ আহমদের সন্ধানে মুরাদপুর থেকে নদীর উজানের দিকে নালায় তল্লাশি শুরু করে। বিরতি দিয়ে গতকাল সকাল থেকে ফের শুরু হয় অভিযান। সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরীর মুরাদপুর থেকে কালুরঘাট হয়ে কর্ণফুলী নদীর মুখ পর্যন্ত তল্লাশি চালানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীদের পাশাপাশি অভিযানে নামে ডুবুরি দলও। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের ১২ জন কর্মী দিনভর অভিযান চালায়। এরপর রেসকিউ টিম নামানো হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় অভিযান স্থগিত করা হয়। শুক্রবার সকালে ফের শুরু হয়েছে অভিযান। নিখোঁজ ছালেহ আহমদের বাড়ি পটিয়া উপজেলার মনসা গ্রামে। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে গ্রামে থাকেন। ছেলে পশ্চিম পটিয়া এ জে চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। মেয়ে মনসা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন