বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

সংগীতকে হারাম বলায় জাবিহুল্লাহ মুজাহিদকে চ্যালেঞ্জ আদনান সামির

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২১, ৭:৫২ পিএম

আফগানিস্তানে এখন শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গনের লোকেরাও আছেন আতঙ্কে। সেই আতঙ্কের মধ্যেই ঘোষণা এলো আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে গান-বাজনা। তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, তালেবানদের শাসন চলাকালীন আফগানিস্তানে সংগীতের অনুমোদন থাকবে না। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। এ তালেবান নেতা বলেন, 'ইসলামে সংগীত নিষিদ্ধ। আমরাও চাই না। আমরা চাই জোর করে কিছু চাপানোর আগেই মানুষ নিজেরাই সংগীত এড়িয়ে চলতে শুরু করবে।' –নিউইয়র্ক টাইমস

তার এই বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করেছেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক আদনান সামি। তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জাবিহুল্লাহ মুজাহিদের একটি নিউজ শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লিখেছেন, 'শ্রদ্ধেয় জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ, আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি এটা দেখান যে পবিত্র কোরআনের কোথায় উল্লেখ আছে সংগীত হারাম বা ইসলামপরিপন্থী! এটাও আমাকে দেখান যে কোনো একটা হাদীস যেখানে মহানবী মুহাম্মাদ (স.) এমন কিছু উল্লেখ করেছেন।'

তার এই পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে। নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। প্রতিক্রিয়া এসেছে মিশ্র। অনেকে আদনান সামির পক্ষে মত প্রকাশ করছেন। অনেকে আবার আদনান সামির ইসলামিক জ্ঞান ও তার জীবনযাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। আফগানিস্তানে ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত তালেবান শাসনে সংগীত, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিল। আইন অমান্যকারীদের ভয়াবহ শাস্তির মুখে পড়তে হতো। এরপর তালেবান শাসনের অবসান ঘটলে দেশটিতে ব্যাপক হারে সংগীত চর্চার প্রসার ঘটে। গড়ে উঠে জাতীয় সংগীত প্রতিষ্ঠানও। পুরুষদের পাশাপাশি ব্যাপক হারে নারীরাও অংশ নিতে থাকেন সংগীতে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (15)
Hasan Kabir ২৯ আগস্ট, ২০২১, ৯:১৭ পিএম says : 0
জনাব আদনান সামি, দয়া করে পবিত্র কুরআন ও হাদীস অধ্যয়ন করুন (‘লাহওয়াল হাদীছ’ এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা পড়ুন)। না জেনে জ্ঞানীদের চ্যালেঞ্জ করা শয়তানের অনুসরণ বৈ নয়।
Total Reply(0)
আব্দুল কাহহার বিন খলিল ২৯ আগস্ট, ২০২১, ১১:০০ পিএম says : 0
وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَشۡتَرِي لَهۡوَ ٱلۡحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ بِغَيۡرِ عِلۡمٖ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًاۚ أُوْلَٰٓئِكَ لَهُمۡ عَذَابٞ مُّهِينٞ আর মানুষের মধ্যে থেকে কেউ কেউ আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য অসার বাক্য (গান-বাজনা) কিনে নেয় জ্ঞান ছাড়াই এবং আল্লাহর দেখানো পথ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। তাদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। {সূরা, লুকমান-৬} حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ مُضَرَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زَحْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَهُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ لاَ تَبِيعُوا الْقَيْنَاتِ وَلاَ تَشْتَرُوهُنَّ وَلاَ تُعَلِّمُوهُنَّ وَلاَ خَيْرَ فِي تِجَارَةٍ فِيهِنَّ وَثَمَنُهُنَّ حَرَامٌ ‏"‏ ‏.‏ فِي مِثْلِ ذَلِكَ أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ هَذِهِ الآيَةُ ‏:‏ ‏(‏ومِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ ‏)‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا يُرْوَى مِنْ حَدِيثِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ ‏.‏ وَالْقَاسِمُ ثِقَةٌ وَعَلِيُّ بْنُ يَزِيدَ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يَقُولُ الْقَاسِمُ ثِقَةٌ وَعَلِيُّ بْنُ يَزِيدَ يُضَعَّفُ ‏.‏ আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা গায়িকা নারীদের ক্রয়-বিক্রয় করো না, তাদেরকে গান-বাজনা শিক্ষা দিও না, তাদের (ব্যবসায়িক পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা) ব্যবসায়ের মধ্যে কোন মঙ্গল নেই এবং এদের মূল্যও হারাম। এ প্রসঙ্গেই এই আয়াত অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ) “এমনও কিছু লোক আছে, যারা বাতিল অশ্লীল কাহিনীসমূহ ক্রয় করে আনে, যেন লোকদেরকে অজ্ঞতাবশত আল্লাহ তা'আলার পথ হতে আলাদা করতে পারে এবং এ পথকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতে পারে। এ ব্যক্তিদের জন্য রয়েছে অপমানকর আযাব। (সূরা লুকমান ৬)। (জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩১৯৫) عَنْ أَبِيْ مَالِكِ الأَشْعَرِىِّ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم لَيَكُوْنَنَّ مِنْ أُمَّتِيْ أَقْوَامٌ يَسْتَحِلُّوْنَ الْحِرَ وَالْحَرِيْرَ وَالْخَمْرَ وَالْمَعَازِفَ. বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিত: রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ ‘অবশ্যই অবশ্যই আমার পরে এমন কিছু লোক আসবে যারা যেনা, রেশম, নেশাদার দ্রব্য ও গান-বাজনা বাদ্যযন্ত্রকে হালাল মনে করবে’ (বুখারী-৫৫৯০)
Total Reply(0)
MD Akkas ২৯ আগস্ট, ২০২১, ১১:০২ পিএম says : 0
আদনান সামি আমার জানামতে একটা ফটকা মুসলমান। ভারতে এসে সব ভুলে গেছে। ইসলাম কাকে বলে সেটা সে জানে না। ইসলামী জ্ঞান যদি থাকতো তাহলে এমন কথা বলতে পারতো না। আশা করি আপনি কোরান ভালোভাবে অধ্যায়ন করবেন অর্থ বুঝে তারপরে দেখেন গান বাজনা হারাম না হালাল।
Total Reply(0)
Md Monir Bhuiyan ২৯ আগস্ট, ২০২১, ১১:০৪ পিএম says : 0
আসলেই আদনান সামির কোরআন হাদীসের জ্ঞানের ঘাটতি আছে।
Total Reply(0)
Md. Shohel ৩০ আগস্ট, ২০২১, ১:০৮ এএম says : 0
আদনান সামি নিজের জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধির জন্য এই ধরনের অবাস্তব মন্তব্য করেছেন। আসলে আদনান সামির কোনো ইসলামী জ্ঞান নেই। নিজের জনপ্রিয়তা ও টাকার মোহে অন্ধ হয়ে গেছেন। ইসলাম প্রিয় মানুষের মনে আঘাত করেছেন। একটি ফালতু লোক।
Total Reply(0)
Md.delwar Hossain ৩০ আগস্ট, ২০২১, ২:০৯ এএম says : 0
আদনান সামির গেন আর শয়তানের গেন এক
Total Reply(0)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ৩০ আগস্ট, ২০২১, ২:৩৬ এএম says : 0
ভারতের কিছু কিছু মুসলমান মনগড়া কথা বলে থাকেন,বুঝলাম না,ইসলাম সম্পর্কে উনারা মনগড়া কথা বলবেন কি জন্য,উনাদের মনে যাই ইচ্ছা তাই করুক উনারা যদি সঠিক ভাবে না চলেন ওনাদের থেকেই হিসাব নিবে,কেয়ামতের ময়দানে,কিন্তু না জেনে শুনে এই কথা সেই কথা বলার অধিকার উনাদের নেই,কিছু কিছু ভারতের মুসলিম মনে করে ইসলাম সম্পর্কে তাবল তাবোল কিছু বললে আমাকে সবাই চিনতে পারবে,আমার দিকে সবাইর নজর আসবে,নামটিও রেজিস্ট্রি হয়ে যাবে,আশা করি না জেনে নাম কামানোর জন্য আল্লাহর ওলীদের এবং ফয়রোজগার আলেমদের মুখে মুখে তর্ক বিতর্ক করা হইতে দুরে থাকবেন।
Total Reply(0)
Habibullah ৩০ আগস্ট, ২০২১, ৫:০৩ এএম says : 0
Hinduder shathe thakte thakte Samir imaner jor kome gese. Kisu taka income hoi Gan geye tai nije mone kore bohut gani lok.
Total Reply(0)
Headayet Ullah ৩০ আগস্ট, ২০২১, ৬:৫৭ এএম says : 0
মোহাম্মদ সামি আপনি নিজে কোরআন পড়ুন জাবিহুল্লাহ মুজাহিদকে চ্যালেঞ্জ করার কোন দরকার নাই। জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ কোরআন তৈরি করেননি উনার উপর কোরআন নাজিলও হয়নি। কোরআন এসেছে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর।
Total Reply(0)
Abrarul Haque ৩০ আগস্ট, ২০২১, ৭:২৬ এএম says : 0
প্রকৃত মোসলমান কখনো গান বাজনা কে জায়েজ বলতে পারেনা ৷ যেটা হারাম সেটাকে হারাম বলা যেটা হালাল সেটাকে বলা এটাই হল প্রকৃত মোসলমানের পরিচয় ৷ আল্লাহ সবাইকে বুঝার তৌফীক্ব দান করুক ৷৷
Total Reply(0)
bulbul ৩০ আগস্ট, ২০২১, ৯:৩০ এএম says : 0
Dear Mr.Adnan, You are Muslim so follow the holly Quran
Total Reply(0)
Mohammed kowaj Ali Khan ৩০ আগস্ট, ২০২১, ৯:৩৭ এএম says : 0
সংগীত তো হারাম হবেই। এই যে সংগীত, সিনেমা সব কিচুই তো বেহায়া বেলাল্লাপনায় ভরা।
Total Reply(0)
Masum billah ৩০ আগস্ট, ২০২১, ১১:৩০ এএম says : 0
Adnan Sami is in batil, Taliban is right. Islam banned song but Islamic song ok. so we love & support Taliban
Total Reply(0)
মোঃ আকতার হোসেন মীর ৩০ আগস্ট, ২০২১, ৮:১৩ পিএম says : 0
আদনান-সামির সঙ্গে কোরআন -হদিস নিয়ে কথা বলা আর কামার বাড়ি কোরআন পড়া একই কথা । ওর মতো করে কথা বলত আবু লাহাব আর আবু জাহেলরা ।
Total Reply(0)
সাইয়্যিদ আওসাফ মামনূন। ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬:৩৭ এএম says : 0
নাচ,গান,কামভাব আবেদনময়ী শ্লোক ইত্যাদি মানুষকে অশ্লীল পথে নিয়ে যায়। আর এসব পথে রুচিশীলতার নামে সমাজে চলে অবাধ যৌনাচার। যেমন হালের পরীমণি। নাচ,গান, অভিনয় আর চলচ্চিত্রের আড়ালে তার চলে কর্পোরেট দেহ ব্যবসা। যা সমাজ ও রাষ্ট্রে এক ভয়াবহ নৈতিক বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসছে। সুতরাং ইসলাম নিষিদ্ধ এসব নাচ, গান-বাজনা সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে বড়ই প্রতিবন্ধক।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন