শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বন্যায় নদী তীরবর্তী পরিবারের পানিবন্দি জীবন

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:৩৪ পিএম | আপডেট : ৬:১৯ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার সর্বনাশী খেলায় নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার হাজার হাজার পরিবার। স্থান ভেদে প্রায় ১ থেকে ২সপ্তাহ ব্যাপি ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকায় পরিবারগুলোর মাঝে দেখা দিয়েছে খাদ্য অভাব। বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে ক্ষেত খামার। ঘরবাড়ি ছেড়ে পরিবারগুলো আশ্রয় নিতে শুরু করেছে উঁচু বাঁধসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। করছে মানবেতর জীবনযাপন।

বন্যার থই থই পানি। চোখ যেদিকে যায় সেদিকেই পানি আর পানি। ভাসমান পরিবার গুলোর মাঝে দেখা দিয়েছে কষ্ট আর দুঃখ। ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তাপাড়ের পরিবারগুলো জীবনযুদ্ধের লড়াই করে বেঁচে আছে। কখনো বন্যা কখনো খরা তছনছ করছে পরিবারগুলোকে। দিনের পর দিন ধরে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার বন্যার পানিতে ভাসছে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে উপজেলার ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার তীরের জনজীবন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পরিবারগুলো আশ্রয় নিতে শুরু করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাঁধে। তাদের মাঝে রয়েছে খাদ্য অভাব। বন্যা এলাকার পরিবার গুলো জানান, বাহে নিচে বানের পানির স্রোত, উপরে চকিতে ঘুমাই এছাড়াও থেমে থেকে ঝড়ছে আকাশের পানি। এছাড়াও রাতে ব্যাঙ্গ, সাপ, বিভিন্ন পোকা মাকরের ভয় তো থাকছে। গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগী নিয়েই পড়েছি বিপদে। বানভাসীরা কেউ রাত কাটাচ্ছে বাঁধে। কষ্টের যেন নেই শেষ। এতি মধ্যে অনেকে সরিয়ে নিচ্ছে বসত বাড়ি। ছন্নছড়া হয়ে পড়েছে নদীর পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা। ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তাপাড়ের বাসন্তীগ্রাম, মাঝিপাড়া, টোনগ্রাম, খড়খড়িয়া টোন গ্রাম, আড়িপাড়া, রাজারভিটা, পাত্রখাতা, শাখাহাতি, বজড়াদিয়ারখাতাসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষজন দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে পানিবন্দি হয়ে। বন্যার্ত পরিবারের মাঝে দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ। বিপাকে পড়েছে নারী ও শিশুরা। খাদ্যর সন্ধানে ছুটছে পরিবারগুলো একদিক হতে অন্য দিকে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে এপর্যন্ত সরকারী ভাবে ২৫ টন চাল ও ১লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরন কার্যক্রম শুরু করেছি এবং বন্যার্ত মানুষরা যেন কষ্টে না থাকে সে জন্য আমাদের চেষ্টা আব্যাহত রয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন